শেরপুরে একশ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ হবে- পলক

শেরপুরে একশ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ হবে- পলক
সর্বমোট পঠিত : 377 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

তিনি আরও বলেন, সরকার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও উচ্চগতির ইন্টারনেট আরও সহজলভ্য করার জন্য সরকার কাজ করছে। বিদ্যুতের বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত এটিও ঠিক হয়ে যাবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, খুশির সংবাদ হচ্ছে শেরপুরে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫ একর জায়গায় একটি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে ।

তিনি শেরপুর সফরে এসে ১৯ অক্টোবর বুধবার রাতে শেরপুরের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের কথা বলার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমি এর আগে ২০১৯ সালে শেরপুরে এসেছিলাম। তখন এখানকার সম্ভাবনার জায়গাগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেটি নিয়ে শেরপুরের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা বলেছিলাম এবং শেরপুরের তরুণ-তরুণীদের যে দাবি ছিল সেটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছি। এরপর দেশে করোনা শুরু হলো। এই করোনাকালীন সময়েও সারাদেশে ১৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার নির্মাণ কাজের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সুখবর হচ্ছে এর মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলাতেও একটি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে নির্মাণকাজের টেন্ডারও হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যে এটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে দৃশ্যমান হবে এবং এরপর থেকেই এ জেলার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের একটা ঠিকানা হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিতি পাবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও উচ্চগতির ইন্টারনেট আরও সহজলভ্য করার জন্য সরকার কাজ করছে। বিদ্যুতের বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত এটিও ঠিক হয়ে যাবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা হার পাওয়ার নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যেটির মাধ্যমে ২৫ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানেও শেরপুরের প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা থাকবেন বলে আশা করছি।

পলক বলেন, নালিতাবাড়ীর পাশাপাশি শেরপুরের অন্যান্য উপজেলাতে ‘জয় ডি-সেট সেন্টার’ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি সারাদেশের মতো শেরপুরেও বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি উদ্বোধন করেছেন। এছাড়া শেরপুরে দুটি ‘স্কুল অব ফিউচার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে ইংরেজি ও অঙ্ক শিক্ষা বিশেষ পদ্ধতিতে দেওয়া হবে। এটিও দ্রুত শুরু হবে। সুতরাং শেরপুরের জন্য  প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছুই উপহার দিচ্ছেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে অন্যান্যের মধ্যে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, ইডিসির প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলীসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

 এর আগে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌঁছলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি।

পরে প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউজ পৌঁছলে তাকে শেরপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময়  প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, সারাদেশের সাংবাদিকদের সাইবার ক্রাইম বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করবে। তিনি শেরপুর প্রেসক্লাবসহ প্রতিটি জেলার প্রেসক্লাবগুলোকে কিভাবে আইসিটি সেবার আওতায় আনা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছে।  

শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ শেরপুর প্রেসক্লাবের জন্য একটি ডিজিটাল ল্যাব প্রদানের অনুরোধ করেন। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি