আয়নাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ॥ উত্তজেনা

সর্বমোট পঠিত : 390 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আয়নাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ওই নির্বাচন বন্ধে সিনিয়র সহকারী জজ, ঝিনাইগাতী আদালতে ঝিনাইগাতী চার জনের বিরুদ্ধে দুটি নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


শেরপুরের ঝিনাইগাতীর আয়নাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ওই নির্বাচন বন্ধে সিনিয়র সহকারী জজ, ঝিনাইগাতী আদালতে ঝিনাইগাতী চার জনের বিরুদ্ধে দুটি নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের আয়নাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান প্রভাব খাটিয়ে তার প্রতিপক্ষ অনেককেই নির্বাচনের ভোটার তালিকা থেকে বাদ রাখেন। একইসাথে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যদের নির্বাচন থেকেও কৌশলে সরিয়ে রাখা হয়। 

ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ায় ছাত্র অভিভাবক মোছা: আঞ্জুয়ারা বাদী হয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ওই নির্বাচন বন্ধে সিনিয়র সহকারী জজ, ঝিনাইগাতী আদালতে বিদ্যালয়ের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি হাসানুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চানক্য সরকার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রিজাইডিং অফিসার মোস্তফা কামাল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি নালিশী মামলা দায়ের করার পর আদালত চানক্য সরকারকে দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দিয়েছেন। দাতা সদস্য নর্বিাচনে প্রার্থী হওয়ায় দুই প্রার্থীকেও বাদ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে দাতা সদস্য প্রার্থী নাজমূল জাহান বাদী হয়ে একই দিন ওই একই আদালতে উল্লেখিত চার জনের বিরুদ্ধে আরেকটি নালিশী মামলা দায়ের করেছেন। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দিতেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে আগামী ২ অক্টোবর এ নির্বাচন করার পায়তাঁরা করছেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চানক্য সরকার মুঠো ফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, সবকিছুই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েই করেছি। তিনি নির্বচনের প্রিজাইডিং অফিসার। আদালতের নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। এখন তিনিই সিদ্ধান্ত দিবেন নির্বাচন করবেন কি না।

এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট রাকিব জানান, আমরা আদালতে নালিশী মামলা করেছি। আদালত দুইদিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। তাদের জবাবের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আদালতের এ নির্দেশনা নিস্পত্তি ছাড়া কোন সরকারী কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনা করতে পারেননা। আর যদি নির্বাচন করেন, তবে আমরা আদালত অবমাননার মামলা করবো।

উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে জানান, প্রধান শিক্ষক ভোটার তালিকা করেছেন, সেটা আমি জানিনা। এখন কোন অভিভাবকের আপত্তি করার সুযোগ নেই। কারন এর মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু গোপনে ভোটার তালিকা করার বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।  
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তজেনা বিরাজ করছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, এটা সবকিছুই দেখছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। তিনি এখনো চুড়ান্ত কিছু বলেননি। তবে সরকারী আইনজীবির (জিপি) কাছ থেকে মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি