শেরপুরে ডান্ডি খেয়ে স্কুল ছাত্র লাবনকে হত্যা

সর্বমোট পঠিত : 201 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ হান্নান মিয়া এক প্রেস ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের এর সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বর্ণনা দেন। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার আসল রহস্য বের হয়েছে। তবে কারা এদেরকে নেশাযুক্ত গাম সরবরাহ করে তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা কর্মসূচীও শুরু করবো খুব দ্রুতই।


ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শেরপুরের চাঞ্চল্যকর নাঈম ইসলাম লাবন হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মাত্র একমাস আগে শেরপুর সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ বজারে ড্যাফডিল আইডিয়াল স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র রিক্সা ভ্যান চালকের ছেলে রিমনের মরদেহ মিলে ওই স্কুলের বাথরুমে। এ ঘটনার রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। এরই মধ্যে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন বেতমারী ঘুঘুরাকান্দির সুবর্ণচরে ২৭ সেপ্টম্বর রাতে খুন হয় রিকশা ভ্যানচালক মাসুদ মিয়ার ছেলে স্থানীয় মডেল একাডেমির ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নাঈম মিয়া লাবন। এতে পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠে হত্যার রহস্য উদঘাটনে।

পুলিশের একাধিক টীম মাঠে নামে খুনিদের খোঁজে। এতে ২৯ সেপ্টেম্বর ভোরে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে লাবনের চার বন্ধু নয়ন, হৃদয়, মনির ও আসলামকে আটক করে। পরে তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা ঘটনার দিন রাতে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী জাফর মিয়ার লেবুর বাগানে লাবন ও গ্রেফতারকৃ চারজনসহ পাঁচজন ডান্ডি গাম খায়। এর একপর্যায়ে তারা লাবনের ওপর হামলা করে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ হান্নান মিয়া এক প্রেস ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের এর সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বর্ণনা দেন। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার আসল রহস্য বের হয়েছে। তবে কারা এদেরকে নেশাযুক্ত গাম সরবরাহ করে তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা কর্মসূচীও শুরু করবো খুব দ্রুতই।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি