চোখ ওঠার লক্ষণ ও করণীয়

সর্বমোট পঠিত : 126 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বর্তমান সময়ে চোখ ওঠার সমস্যা বেড়েছে। চোখ ওঠার প্রধান কারণ হতে পারে ভাইরাস। এছাড়া ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। তবে সাময়িক কষ্ট হলেও এটি মারাত্মক নয়। চোখ ওঠা সমস্যা এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়।


বর্তমান সময়ে চোখ ওঠার সমস্যা বেড়েছে। চোখ ওঠার প্রধান কারণ হতে পারে ভাইরাস। এছাড়া ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। তবে সাময়িক কষ্ট হলেও এটি মারাত্মক নয়।
চোখ ওঠা সমস্যা এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। চোখ ওঠলে যা করতে হবে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

চোখ ওঠার লক্ষণ

* চোখ লাল হয়ে যাওয়া

* ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা

* সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি

* চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা

* আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা

* সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা

* চোখ দিয়ে পানি পড়া

* চোখের কোনায় ময়লা জমা

* চোখ ফুলে যাওয়া।

চোখ ওঠার সমস্যায় করণীয়-

১। পানির ঝাপটা দিন

সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে পরিষ্কার পানির ঝাপটা দিতে হবে। চোখে কোনো ধরনের নোংরা পানি, ধুলোবালি যেন প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। চোখ আঠালো হয়ে থাকলে বার বার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অকারণে চোখে হাত দেওয়া যাবে না।

২। সানগ্লাস ব্যবহার করুন

আপনার চোখ আক্রান্ত হলে সেখান থেকে আরও অনেকের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে সম্ভব হলে বাড়িতে থাকুন। যদি বাইরে বের হতে হয় তবে অবশ্যই সানগ্লাস পরে বের হবেন। এটি আপনাকেও সুরক্ষিত রাখবে। রোদের কারণে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

৩। সতর্ক থাকুন

চোখ ওঠা যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, তোয়ালে, বিছানাপত্র অন্য কেউ ব্যবহার না করাই ভালো।

৪। ড্রপ ব্যবহার

ভাইরাসের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য ড্রপ ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে সেজন্য ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। তবে সবটাই করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। নিজ থেকে কোনো ড্রপ বা ওষুধ ব্যবহার করবেন না।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি