দলীয় পদ হারালেন সাবেক জেলা চেয়ারম্যান রুমান 

দলীয় পদ হারালেন সাবেক জেলা চেয়ারম্যান রুমান 
সর্বমোট পঠিত : 791 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

জেলা আওয়ামলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব ফকরুল মজিদ খোকন জানান, বাংলাদেশ আওয়ামলীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭(১১) ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় এমনিতেই বহিস্কৃত হয়েছেন হুমায়ুন কবীর রুমান। তাই জেলা আওয়ামলীগ তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে। তিনি আরও জানান, এর আগেই সে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিলো। তাকে দল সেবার সাধারণ ক্ষমা করেছিলো। কিন্তু দ্বিতীয়বার আবারও দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামীলীগের সভায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 


দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে এসে দলীয় পদ হারালেন শেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা আওয়ামীলীগের ৫৪ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শেরপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে দ্বিতীয়বারের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমানকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামলীগের সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছানু সভাস্থল ত্যাগ করেন। এছাড়া বাকী সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি একাত্মতা পোষন করেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়। জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠক শেষে রাত সাড়ে এগারটার সময় সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। 
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ও জেলা আওয়ামলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব ফকরুল মজিদ খোকন জানান, বাংলাদেশ আওয়ামলীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭(১১) ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় এমনিতেই বহিস্কৃত হয়েছেন হুমায়ুন কবীর রুমান। তাই জেলা আওয়ামলীগ তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে। তিনি আরও জানান, এর আগেই সে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিলো। তাকে দল সেবার সাধারণ ক্ষমা করেছিলো। কিন্তু দ্বিতীয়বার আবারও দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামীলীগের সভায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

শেরপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন লাভের জন্য জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও হুমায়ুন কবীর রুমানসহ ৬জন নেতা মেনানয়ন চান। পরে বাংলাদেশ আওয়ামলীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পালকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেয়া হয়। আর তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরুও করেছেন। 
অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন হুমায়ুন কবীর রুমান।
 
গত নির্বাচনেও হুমায়ুনকবীর রুমান দলের মনােনীত প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমানের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার মতামত পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি