দেশে শতকরা ৮৭ ভাগ ‌পর্যটক ‘হয়রানি’র শিকার..সবুজ আন্দোলন

সর্বমোট পঠিত : 104 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভ্রমণে গিয়ে দেশের শতকরা ৮৭ ভাগ পর্যটক হয়রানির শিকার হন বলে দাবি করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মালিবাগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণে অপরিকল্পিত পদক্ষেপ, সরকার ও উদ্যোক্তাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি করেন বক্তারা।


বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভ্রমণে গিয়ে দেশের শতকরা ৮৭ ভাগ পর্যটক হয়রানির শিকার হন বলে দাবি করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মালিবাগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণে অপরিকল্পিত পদক্ষেপ, সরকার ও উদ্যোক্তাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি করেন বক্তারা।

সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ১১ জেলায় সবুজ আন্দোলনের কর্মীদের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহের চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে দেখা গেছে শতকরা ৮৭ জন ব্যক্তি হয়রানির শিকার হয়েছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে বিদেশি গাছ রোপণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রকৃতি তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা প্রশাসনের দ্বারা নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছে, যা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সব থেকে সম্ভাবনাময় খাত পর্যটন শিল্প। সব থেকে অবহেলিত খাতও পর্যটন শিল্প। একটি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পর্যটন খাতের উন্নয়ন করতে পারলে বাংলাদেশের জিডিপিতে ২০ ভাগ পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও হোটেল মোটেলের সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব। প্রতিবছর পর্যটন খাত আমাদের জাতীয় জিডিপির ১১ শতাংশ যোগান দেয় এবং কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের। করোনাকালীন সময়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত প্রতিবছর পর্যটন খাত থেকে আয় করে ১০ হাজার ৭৩০ মিলিয়ন ডলার, মালদ্বীপ ৮০২ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কা ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার, নেপাল ১৯৮ মিলিয়ন ডলার কিন্তু বাংলাদেশ আয় করে মাত্র ৭৬ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার।  

এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনা গুলো হচ্ছে— প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না এবং দেশীয় প্রজাতি গাছের চারা রোপণে বাধ্যবাধকতা রাখা। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য টুরিস্ট পুলিশের আধুনিকায়ন, অর্থ বরাদ্দ ও লোকবল বৃদ্ধি সহ আরও বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আর খান, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল, মেঘবতী রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু হামিদ, টুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী তানিয়া রশিদ, ইকো কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী সাইফুর রহমান খোকন প্রমুখ।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি