শেরপুরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে দুই শিক্ষকের ৭ দিনের কারাদণ্ড

সাজাপ্রাপ্তরা স্থানীয় জিদনি মডেল স্কুলের সহকারী শিক্ষক
সর্বমোট পঠিত : 143 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, ওই দুই শিক্ষকের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে আজকের গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর পাওয়া যায়। আটকরা পরীক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহ করার চেষ্টা করছিলেন বলে স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। আটকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেয়।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরসহ আটক দুই শিক্ষককে সাত দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল উত্তর দারিয়ারপাড় গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন ও নয়াগাঁও গ্রামের প্রয়াত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান মিলন। তারা দুজনই ঝিনাইগাতী বাজারের জিদনি মডেল স্কুলের সহকারী শিক্ষক।

ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলায় এসএসসির গণিত পরীক্ষা চলাকালে মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে অবস্থান করছিলেন ওই দুই শিক্ষক। সন্দেহ হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে।

ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, ওই দুই শিক্ষকের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে আজকের গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর পাওয়া যায়। আটকরা পরীক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহ করার চেষ্টা করছিলেন বলে স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। আটকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেয়।

ঝিনাইগাতী থানার ওসি মনিরুল আলম ভূঁইয়া জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই শিক্ষককে বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি