শেরপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানের মতবিনিময়

সর্বমোট পঠিত : 165 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শেরপুর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।


শেরপুর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় নবাগত পুলিশ সুপার আগামী ১০০ দিনে ৭টি কার্যক্রম হাতে নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সেইসাথে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতনসহ অপরাধ দমনে শক্ত অবস্থানের কথা সাংবাদিকদের তুলে ধরেন। 

সভার শুরুতেই নবাগত পুলিশ সুপারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শেরপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাকন রেজাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নবাগত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ২৫ তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি এর আগে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এআইজি (মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি উইং) এবং মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ে কর্মরত ছিলেন।

নবাগত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলার উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং পুলিশি কার্যক্রম নিয়ে আগামী ১০০ দিনে ৭ পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। মাদক সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সামাজিক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকলকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। মাদক সেবী বা ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে হবে। মাদক, জুয়া, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতনের মতো অপরাধের তথ্য সরাসরি আমাকে দিবেন, আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। আমার কোন অফিসার যদি এইসব কাজের সাথ যুক্ত থাকে আমি তার ন্যায় বিচার করব। আমি পুলিশ সুপার আমার জানা দরকার আছে আমার পুলিশ কি করেছে। আমাদের সকল অনিয়ম দুনীতি থেকে দূরে সরে আসতে হবে এবং সাধারণ মানুষের প্রতি মানবিক হতে হবে। 


তিনি আরো বলেন, আমি নিজে ঘুষ বা সাধারণ জনগণের ১ টাকা খাব না । আমার কনস্টেবল থেকে শেরপুর জেলা পুলিশের কেউ কারো কাছ থেকে একটা লাল চাও খেতে দিব না। ঘুষ ত দূরে থাক। আমরা যখন চা খাব না আপনাদের ও খেতে দিব না । কোন বিষয়কে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।


আপনার এসপি আপনার কাছে কার্যক্রম চালু করব। এটি জবাবদিহিতা মূলক প্রোগ্রাম হবে। এখানে সাধারণ মানুষের সমস্যা সর্ম্পকে জানতে চায়।জনগণের কেমন পুলিশ চাই তাও জানতে হবে। প্রায়োজনে সাধারণ মানুষের জন্য সপ্তাহে সাত দিন আপনার এসপি আপনার সাথে থাকবে। 


সাংবাদিকদের তিনি বলেন,  তা আপনাদের কাছে গিয়ে বলে আসব। ভালোকিছু করতে সহজে কাউকে পাওয়া যায় না আমি আপনাদের পাব। অন্য কাউকে পাবেন কি না জানি না, ফুতপাতে চা খাওয়ার এসপি আমাকেই পাবেন, আমি এটা বলতে পারব।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি