বগুড়ায় মেয়ের আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বাবার সংবাদ সম্মেলন

সর্বমোট পঠিত : 56 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলাটি পিবিআই অথবা সিআইডিতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মিলানের পাড়া এলাকার সেলিম রেজা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।


আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলাটি পিবিআই অথবা সিআইডিতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মিলানের পাড়া এলাকার সেলিম রেজা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে শারমিন আক্তার শিলা গত ৩ জুন বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে একই গ্রামের শহীদুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে রিমন মিয়াকে বিয়ে করে। মেয়ের বাড়িতে থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি থানায় জিডি করলেও বিয়ের ব্যাপারটি মেনে নেন জানিয়ে বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের ওপর স্বামী, স্বামীর পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে জানতে পারেন। কিন্তু মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে মনে করে তিনি বিষয়গুলো নিয়ে নিরব থাকেন।

ধারাবাহিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ২৯ আগস্ট তার মেয়ের স্বামী, শ^শুর, শাশুড়ি ও ভাই শিলাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে বলে, ‘তুই বাড়ি থেকে চলে যা, নয়তো আত্মহত্যা কর’। প্রচন্ড চাপে ও ক্ষোভে তার মেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে শিলার শ^শুর বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে সোনাতলা হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে মেয়ের চিকিৎসা চলাকালে তাকে জানায়, তার স্বামী রিমন মিয়া, শ^শুর শহীদুল ইসলাম মন্ডল, শাশুড়ি রেহেনা বেগম ও চাচা শশুর শফিকুল ইসলামের চাপাচাপিতেই গ্যাস ট্যাবলেট থেকে বাধ্য হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিলার শশুর বাড়ির লোকজন প্রথমে তার মেয়েকে সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে হয়তো তার মেয়ে বেঁচে যেতো। চিকিৎসা গ্রহণে দেরির কারণে গত ৩০ আগস্ট সকালে তার মেয়ে মারা যায়। তার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে শশুর বাড়ির লোকজন প্ররোচিত করেছে জেনে তিনি ১ সেপ্টেম্বর সোনাতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু মামলা দায়েরের পর থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তার কর্মকান্ডে তিনি সন্তুষ্ট বোধ করছেন না জানিয়েছে মামলটি তিনি পিবিআই অথবা সিআইডিতে স্থানান্তরের দাবি জানান।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি