আইনী ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ

বিয়ের এক বছর পর স্ত্রী জানলেন স্বামী হিন্দু

জুয়েল চন্দ্র দাস
সর্বমোট পঠিত : 135 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

জুয়েল মুসলিম ছেলে হিসেবে নকল জন্মসনদ দিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ওই তরুনীকে। জুয়েল রামগতির বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কালামিয়া পন্ডিতের হাট এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান। পরিচয় গোপন করায় জুয়েল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

  
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা :
গার্মেন্টসে চাকুরী করার সুবাদে পরিচয়, পরিচয়ের পর বিয়ে। আর বিয়ের এক বছর পর মুসলিম তরুনী জানলেন স্বামী একজন হিন্দু। জুয়েল চন্দ্র দাস নামের ওই যুবক নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে শেরপুর জেলার এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। আর এ খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে বিয়ের ৬/৭ মাসের মাথায় কাউকে কিছু না বলে আত্মগোপনে চলে যায় ওই যুবক। ইতিমধ্যে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই তরুনী। সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী স্বামীকে খুঁজতে খুঁজতে চলে যান লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায়। সেখানে গিয়েই জানতে পারেন, জুয়েল আসলে মুসলিম নন, সে একজন হিন্দু।
জুয়েল মুসলিম ছেলে হিসেবে নকল জন্মসনদ দিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ওই তরুনীকে। জুয়েল রামগতির বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কালামিয়া পন্ডিতের হাট এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান। পরিচয় গোপন করায় জুয়েল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ভূক্তভোগী তরুনী জানায়, সে শেরপুর জেলার বাসিন্দা। সে ওই জুয়েল একই সাথে ঢাকার গাজীপুরে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরী করতেন। তখনই তাদের দুই জনের মধ্যে প্রেম ও পরে বিয়ে হয়। তখন জুয়েল পরিচয় গোপন করেছিলো এবং নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবী করেছিলো। বিয়ের ৬/৭মাস পর তার গর্ভে সন্তান আসার কথা শুনেই জুয়েল আত্মগোপনে চলে যায়। এরপরই খুঁজতে থাকে স্ত্রী। খুঁজতে খুঁজতে তিনি রামগতির বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কালামিয়া পন্ডিতের হাট এলাকায় এসে তার খোঁজ পান। তখনই স্বামীর আসল পরিচয় পান ওই নারী।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, স্বামীর খোঁজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াসহ পুলিশের সহায়তা চেয়ে রামগতি থানায় আসেন ওই ভুক্তভোগী। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলায়। ওই নারীর বক্তব্য শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে জুয়েলের ঠিকানা নিশ্চত করা হয়। তরুনীকে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।  

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি