‘নিজের গায়ে আগুন’: অবস্থা আশঙ্কাজনক

‘নিজের গায়ে আগুন’: অবস্থা আশঙ্কাজনক
সর্বমোট পঠিত : 159 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে স্বামীর বাড়ির সামনের রাস্তায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ সিহাবুন মুবিন মৌয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৪৬ ভাগ পুড়ে গেছে। শ্বাসনালি পুড়ে গেছে ৭৬ ভাগ। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মৌকে কেউ পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেনি। হতাশাজনিত কারণে স্বামীর বাড়ির সামনে তিনি নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছিলেন। মৌ একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নিউজ প্রেজেন্টারের চাকরি করতেন। দুই বছর আগে সেই চাকরি ছেড়ে দেন।

স্বজনরা জানিয়েছেন, একই টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান ইরফান হাইউমকে বিয়ে করেছিলেন মৌ। মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুর রাহি নিউজবাংলাকে বলেন, রোববার রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাটি ঘটে ইরফানের বাসার সামনের গলিতে। রাস্তার ওপর নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এর আগে মোবাইলে তার স্বামীর নম্বর উঠিয়ে রেখেছিলেন। ওই নম্বরে কল পেয়ে ইরফান ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং মৌকে নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।


এসআই মনজুর আরও বলেন, ইরফানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে মৌয়ের মা ও বাবার জিম্মায় ছাড়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।


চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মনজুর রাহি বলেন, ‘আমি মাত্র হাসপাতাল থেকে আসলাম। ওই নারীর কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে বাঁচবে না। ডাক্তাদের ভাষ্যমতে, আশা ছেড়ে দেয়ার মতো অবস্থা।’


জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের ৪৬ ভাগ পুড়ে গেছে। অবস্থা আরও খারাপ হলে আইসিইউতে নিতে হবে। তবে আইসিইউতে জায়গা ফাঁকা নেই।’


মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইরফান ও মৌয়ের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। ইরফান বিয়ের কাগজ দেখিয়েছেন। তাদের দুইজনেরই আগে বিয়ে হয়েছিল। দুজনই এটা জেনে বিয়ে করেছিলেন। মেয়েটাও তার আগের সংসার ছেড়ে আসে। মিউচুয়ালি তারা একসাথে থাকবে বলে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে নাই।


তারা একসাথে একটা বুটিক হাউসও খুলেছেন। তাদের বুটিক হাউসে তারা দিনে একসাথে থাকত। মিরপুর-৬ নম্বর এলাকায় ইরফানের বাসার পাশের গলিতে মৌ নিজের গায়ে আগুন দেন।’


নিজ গায়ে আগুন দেয়ার কারণ জানিয়ে ওসি বলেন, মৌ পুলিশকে জানিয়েছেন, তার আর বাঁচতে ইচ্ছা করে না। পারিবারিক অশান্তি, আত্মীয়স্বজনদের সাথে অশান্তিসহ নানা কারণে চরম হতাশা থেকে তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন।’

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি