টেকনাফে খাবার নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ
সর্বমোট পঠিত : 81 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের দাবি, নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড এবং তাদের ফুড কার্ড একইরকম হওয়াতে সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে, যা তারা কোন ভাবেই এটা মেনে নেবে না।

কক্সবাজার টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গারা খাবার (ফুড কার্ড)কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করছে। রেশনকার্ড, খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তাদের।
গত কয়েকদিন ধরে চেপে থাকা ক্ষোভ তারা প্রতিবাদের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। ক্ষোভে শুধু পুরুষেরা নয়, এবার নারীরাও অংশগ্রহণ নিতে দেখা গেছে।
রবিবার (১ আগষ্ট) ভোর থেকেই পুরাতন রোহিঙ্গারা নয়াপাড়া ক্যাম্পে বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করে।
তবে, বিক্ষোভ থামাতে স্থানীয় প্রশাসনসহ এপিবিএন সদস্যরা শক্ত অবস্থান রয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের কারণ ও অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা গেল অনেক তথ্য।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, নয়াপাড়া রেজিঃ ক্যাম্পে পুরাতন (১৯৯২ সালে আগত) ও নতুন (২০১৭ সালে আগত) রোহিঙ্গারা বসবাস করে। পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড নতুন রোহিঙ্গাদের ফুডকার্ডের চেয়ে পরিমানে ভিন্ন। সব রোহিঙ্গার মাঝে সমপরিমাণ খাবার বিতরণের জন্য পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড ফেরত নিয়ে গত মাসে নতুন ফুড কার্ড ইস্যু করা হয়। নতুন ফুড কার্ড অন্যান্য ক্যাম্পের সমসাময়িক (২০১৭ সালে) আগত নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ডের অনুরূপ হওয়ায় নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গারা অদ্যাবদি নতুন ফুড কার্ড গ্রহণ করে নাই। এমনকি তারা জুলাই মাসের রেশন উত্তোলন করে নাই।
নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের দাবি, নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড এবং তাদের ফুড কার্ড একইরকম হওয়াতে সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে, যা তারা কোন ভাবেই এটা মেনে নেবে না।
অন্যদিকে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিস ও ইউএনএইচসিআর অফিস তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ফুড কার্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন বিক্ষোভের চেষ্টা করলে তাদের এপিবিএন ক্যাম্পে ডেকে বোঝানো হয় এবং তারা তা মেনে নেয়।
উক্ত বিষয়ে সিআইসি এবং ইউএনএইচসিআরের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
তবে, রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের পেছনে একটি চক্র উস্কানি বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা
তিনি বলেন, পুরাতন রোহিঙ্গারা দুষ্ট। তাদের ছোট একটা গ্রুপ আছে। তারা পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে। পরিকল্পিত দ্বন্দ্বটা লাগাচ্ছে।
সব নজরে আছে। ঘটনায় কারা জড়িত, বের করার চেষ্টা চলছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি