বলাইশিমুলে শতবর্ষী খেলার মাঠটি উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় ঢাকায় মানববন্ধন

সর্বমোট পঠিত : 117 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, অতন্ত দুঃখ পাই যখন একটা মাঠ রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী লাগে। একটা নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী লাগে। একজন ব্যক্তির পক্ষে এক সঙ্গে সবদিক খেয়াল করা সম্ভব না। যারা মাঠ দখল করে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তারা বালাইশিমুলবাসীকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার একটি সিদ্ধান্তই হকে পারে তরুণদের অন্তরাত্মার চাওয়া নেত্রকোণা কেন্দুয়ার বলাইশিমুল শতবর্ষী খেলার মাঠটি বাঁচিয়ে দিতে, শতবর্ষী এই খেলার মাঠটি উদ্ধার করতে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত হন্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন - বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, তেতুলতলা কলাবাগান মাঠ রক্ষা আন্দোলনের নেত্রী- সৈয়দা রত্না, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক-আবুল কালাম আল আজাদ, কণ্ঠশিল্পী বীথি ঘোষ সহ এলাকার ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ। বলাইশিমুলবাসীর হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, শিশু বিকাশ রক্ষায় ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প যেন অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে করা হয়।

শুক্রবার (১ জুলাই) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বালাইশিমুল ইউনিয়নবাসী ব্যানারে আয়োজিত ‘শতবর্ষী প্রাচীন বালাইশিমুল খেলার মাঠ থেকে আপ্রয়ণ পপ্রকল্প অন্যত্র স্থাপনের দাবি’তে মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।


বলাইশিমুল মাঠ রক্ষা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রতœা বলেন, ‘মাঠ আন্দোলন যৌক্তিক ও মানবিক আন্দোলন। আগামী প্রজন্মের জন্য এ লড়াই, অন্য যেকোন আন্দোলন থেকে কম নয়। আপনাদের এ দাবি যদি প্রধানমন্ত্রী শোনেন নিশ্চয় তিনি একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

তিনি আরও বলেন, যারা বালাইশিমুল মাঠ দখল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়, তারা পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রীর আদেশ অমান্য করছে। দেশে উন্নয়ন প্রয়োজন কিন্তু প্রকৃতকে ধ্বংস করে না।’

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, অতন্ত দুঃখ পাই যখন একটা মাঠ রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী লাগে। একটা নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী লাগে। একজন ব্যক্তির পক্ষে এক সঙ্গে সবদিক খেয়াল করা সম্ভব না। যারা মাঠ দখল করে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তারা বালাইশিমুলবাসীকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই মাঠ আপনাদের মাঠ, মালিকানা আপনাদের। আপনারা এ মাঠ ছাড়বেন না। এটা রূপক আন্দোলন, সারাদেশেই মাঠ রক্ষায় আমাদের আন্দোলন চালু থাকবে।’

বালাইশিমুল গ্রামের বাসিন্দা মশিউর জামান টিটু বলেন, আমরা চাই সুন্দর জীবন, সুষ্ঠু জীবন। আমরা চাই আগামীর প্রজন্ম যেন সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠে। কিন্তু এই মাঠ দখল হলে স্থানীয় শিশু কিশোররা তাদের সুন্দর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ হারাবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতে কথা চিন্তা করে প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তর করা হোক।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শত বছরের পুরোনো ওই খেলার মাঠটি বলাইশিমুল গ্রামের ১ একর ৮৭ শতক সরকারি জায়গায় অবস্থিত। সেখানে এলাকার শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থীসহ তরুণ-যুবকেরা খেলাধুলা করেন। সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন মাঠের দুই পাশে ভূমিহীন ও গ্রহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ২৩টি ঘর নির্মাণ করছে। তাই ওই জায়গার পরিবর্তে মাঠের উত্তর পাশে কিছুটা নিচু জমিতে ঘর নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি