কুড়িগ্রাম রাজিবপুরের বানভাসিদের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন

সর্বমোট পঠিত : 127 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

চরের বানভাসি মানুষ জানায়, তারা কোদালকাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা। চর বিলীন হওয়ার পর তারা ঠাঁই নিয়েছে পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গায়। বর্ষা এলেই চর প্লাবিত হয়। পানি নেমে গেলে শুরু হয় ভাঙন। এবার যমুনার ঢলে প্লাবিত হয় চরের কয়েক শ পরিবার। অনেকেই বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। আট দিন ধরে পানিবন্দী থাকার পর যমুনায় পানি কমতে শুরু করে। এখন পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙছে নদীর কূল। বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও, সেভাবে কোনো ত্রাণ তৎপরতা নেই।


২৬ জুন ২০২২ রোজ রবিবার সকাল ১১ টায় সেচ্ছাসেবী সংগঠন "মোস্তাঈন মোশন" টীম এর উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চর শংকর মাধবপুরবাসীর মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উত্তাল ব্রম্মপুত্র নদীর দুর্গম পথ। দুপুর নাগাদ ত্রাণবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা পৌঁছাল চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে। নদীতীরে ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ বানভাসি শত মানুষ। "মোস্তাঈন মোশন" প্রতিনিধিরা বানভাসি মানুষের হাতে তুলে দেন ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট।

ত্রাণ পেয়ে দীঘাপাড়া চরের বানভাসি রওশোনারা বেগম বলেন, ‘বানের পানিত ভাসতে ভাসতে জীবনডা শ্যাষ। খায়্যা না খ্যায়া জীবন যাচ্চে। কেউ অ্যাকনা ইলিপ দিচ্চে না। চিড়া-চিনি, পানি পায়্যা খুব ভালো হইল বাপ। চিড়া-চিনি, পানি খ্যায়া জীবনডা বাঁচাবার পারমো।’

আজ বরিবার "মোস্তাঈন মোশন" টীমের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী পেয়ে এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রাজিব পুর চরে আশ্রয় নেওয়া রওশোনারা বেগম।

শুধু রওশোনারা বেগম নন, রাজিবপুর চরের বানভাসি ১৫০টি পরিবারের হাতে "মোস্তাঈন মোশন" টীমের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। "মোস্তাঈন মোশন" টীমের প্রতিনিধিরা নৌকায় ঘুরে ঘুরে রাজিবপুর চরের বানভাসি মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল দুই কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, আধা কেজি চিনি,দশ প্যাকেট করে বিস্কুট সহ কিছু নগদ অর্থ।

চরের বানভাসি মানুষ জানায়, তারা কোদালকাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা। চর বিলীন হওয়ার পর তারা ঠাঁই নিয়েছে পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গায়। বর্ষা এলেই চর প্লাবিত হয়। পানি নেমে গেলে শুরু হয় ভাঙন। এবার যমুনার ঢলে প্লাবিত হয় চরের কয়েক শ পরিবার। অনেকেই বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। আট দিন ধরে পানিবন্দী থাকার পর যমুনায় পানি কমতে শুরু করে। এখন পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙছে নদীর কূল। বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও, সেভাবে কোনো ত্রাণ তৎপরতা নেই।

এসময় স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক "মোস্তাঈন মোশন" টিমের প্রধান মাওলানা ক্বারী আহমদ তালুকদার সাহেব এর কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে সমস্যার কথা গুলো তুলে ধরেন।

ত্রানসামগ্রী বিতরণে টীমে সেচ্ছাসেবী হিসেবে ছিলেন - হাফিজ মুহম্মদ আবু তাহির, হাফিজ মুহাম্মদ আলী, হাফিজ রাসেল আহমেদ, মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম, এইচ এম আল আমীন আজাদী, মুহম্মদ মনির খান।

এসময় উপস্থিত সকলকে নিয়ে বানভাসি মানুষের জন্য মহান আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া মুনাজাত করা হয়।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি