শিক্ষার শেকর তিক্ত কিন্ত স্বাদ বড় মিষ্ট

সংগৃহীত
সর্বমোট পঠিত : 249 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

শিক্ষার শেকর তিক্ত কিন্ত স্বাদ বড় মিষ্ট খালিদুর রহমান

খালিদুর রহমান

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক  শিক্ষা কার্য্যক্রমে সহায়ক।  শিক্ষার ভিত্তি পরিবার থেকেই স্থাপন হয়।আচরনের কাংখিত পরিবর্তনই যদি শিক্ষার লক্ষ্য হয় তবে এই আচরন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দিতে পারবেনা
কোন শিক্ষক। একজন মানুষ যতই শিক্ষিত, যোগ্য হউক না কেন, সে যে পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছে ঐ পরিবারের সংস্কৃতি থেকে সে কোনদিনই বেড়িয়ে আসতে পারবেনা।

মানুষ মারা যায় কিন্তু তার শরীরের জ্বীন নামক একটা বিশেষ পদার্থ মরেনা। বংশানুক্রমিকভাবে এই জ্বীনের স্থানান্তর হতে থাকে। দাদা থেকে বাবা, বাবা থেকে সন্তান, সন্তান থেকে নাতিপুতি পর্যায়ক্রমে এটা চলতেই থাকবে। এই জ্বীনের সাহায্যেই স্বভাব নিয়ন্ত্রিত হয়।
এজন্যই আমরা বলি ছেলেটা ঠিক দাদার মত হয়েছে।

শিক্ষার প্রভাবতো অবশ্যই আছে। এজন্য আচরনে কিছু না কিছু পরিবর্তন আসবেই। আজকে আমাদের শিক্ষার লক্ষ্য হয়ে গেছে শুধুমাত্র কর্মসংস্থান তথা বেকারত্ব দূরীকরন। তবুও  যখন দেখা যায় বেকারত্বের হার দিনদিন বাড়ছে, তখন বুঝা যায়, আমাদের শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যেই ভুল। যে সরষে দিয়ে ভূত তাড়াবো, সেই সরষেতেই যদি ভূত থাকে, তবে ভূত আর যাবে কিভাবে।

আমাদের দেশে যে শিক্ষাপদ্ধতি, এটা মুলত বৃটিশ প্রবর্তিত শিক্ষা পদ্ধতি। বৃটিশভারতে ততকালীন সময়ে বৃটিশদের প্রয়োজন ছিল কিছু কেরানী, যারা রক্তে, গন্ধে ভারতীয় কিন্তু বর্নে হবে বৃটিশদের মত। এজন্য তারা প্রবর্তন করে সাধারন শিক্ষাপদ্ধতির। এ পদ্ধতি অনুযায়ী একজন শিক্ষিত ব্যাক্তি তার শিক্ষা জীবন শেষে চাকুরী করতে বাধ্য হবে। কারন কেরানীগিরি করা ছাড়া আসলে তার কোন যোগ্যতাই নেই।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি