ময়মনসিংহের ৩৭ মণ ওজনের কালো মানিক

ঈদে বিক্রি হয়নি ‘কালো মানিক’: বিপাকে খামারি

৩৭ মণ ওজনের কালো মানিক
সর্বমোট পঠিত : 122 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

আগের বছর কোরবানি ঈদে ‘লাল মানিক’ নামের আরেকটি গরু পালন করে বিক্রি করেছিলেন ১৩ লাখ টাকায়। ওই সময়ে ‘কালো মানিক’র দাম উঠেছিল ১১ লাখ টাকা।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খামারি জাকির হোসেন সুমন। ঈদে কোরবানির পশুর হাটে ৩৭ মণ ওজনের ‘কালো মানিক’কে বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
ঢাকার উত্তরা ও আজিমপুর হাটে নিয়েও বিক্রি করতে পারেনি ‘কালো মানিক’কে। ফিরিয়ে আনতে হয়েছে নিজ বাড়িতে। বাজারে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিলো সাড়ে ১১ লাখ টাকা। ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মতো মালিক সুমনের চাহিদা ছিল।

আগের বছর কোরবানি ঈদে ‘লাল মানিক’ নামের আরেকটি গরু পালন করে বিক্রি করেছিলেন ১৩ লাখ টাকায়। ওই সময়ে ‘কালো মানিক’র দাম উঠেছিল ১১ লাখ টাকা।

খামারি জাকির হোসেন সুমন বলেন, ‘আল্লাহ-ই ভালো জানেন, কালো মানিক আমার হাতে আর কতদিন খাবার খাবে। বিক্রি করতে পারিনি তাতে কী হয়েছে? নসিবে যা আছে তাই হবে। প্রতিদিন কালো মানিকের পেছনে খাওয়া বাবদ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা লাগে। ওর পেছনে একজন শ্রমিক আছে, যার মাসিক বেতন দিতে হয় ১২ হাজার টাকা।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে মাংস ওজনে বিক্রি করলেও কালো মানিকের দাম ৯ লাখ টাকার ওপরে রয়েছে। তবে মাংসের জন্য এই গরু কখনও বিক্রি করবো না। শখের বশে যদি কোনও ব্যক্তি ভালোবেসে বেশি দামে কিনে নেয়, তাহলে তার কাছেই বিক্রি করবো।’
খামারি আরও বলেন, ‘ভালো দাম পেলে বিক্রি করব, না পেলে খামারে রেখে দিব। মাস খানেক যাওয়ার পর আরও পাঁচ-ছয়টা ষাঁড় গরু কিনে কালো মানিকের সঙ্গে লালন-পালন করতে শুরু করব। মাছ চাষের পাশাপাশি শখ করে গরু লালন-পালন করি। শখের বসেই গত পাঁচ বছর আগে ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কালো মানিককে কিনে এনে খামারে লালন-পালন করি। বর্তমানে কালো মানিকের ওজন ৩৭ মণ।’



মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি