ফলোআপ

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় একজন গ্রেফতার

পারভেজ
সর্বমোট পঠিত : 89 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ম্যুরাল ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছেন পারভেজ। কী কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে যেখানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে পারভেজের একটি অবৈধ টং দোকান ছিল। সেখানে মোটরসাইকেলের স্টিকার ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করতেন তিনি। পরবর্তীতে নরসুন্দা নদী খননের সময় অবৈধ স্থাপনাটি ভেঙে দিয়েছিলো প্রশাসন।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জন প্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় পারভেজ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজনকে পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার (৩০ জুলাই) নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান।
পারভেজ কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রায়টুটী গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে শহরের শোলাকিয়ার বনানী মোড়ে নুর ইসলামের বাড়িতে থাকতেন।
ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ম্যুরাল ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছেন পারভেজ। কী কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে যেখানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে পারভেজের একটি অবৈধ টং দোকান ছিল। সেখানে মোটরসাইকেলের স্টিকার ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করতেন তিনি। পরবর্তীতে নরসুন্দা নদী খননের সময় অবৈধ স্থাপনাটি ভেঙে দিয়েছিলো প্রশাসন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পারভেজ যখন ম্যুরালটি ভাঙছিলেন, তখন সগড়া বিশ্বরোডের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি নয়ন ঘটনাটি দেখতে পান। তার বিবরণ অনুযায়ী পারভেজের স্বীকারোক্তির মিল পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে শহরের আখড়া বাজার ব্রিজের পাশে নরসুন্দা নদী সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্ত্বরে ম্যুরালটিতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও অসংখ্য সাধারণ মানুষ এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা জানিয়েছেন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি