সরিষাবাড়ীতে ধর্ষকের সাথে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বিয়ে

সর্বমোট পঠিত : 126 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ ব্যাপারে আঃ রহিম বাদশা ভূঁইয়ার সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সহ স্থানীয়দেরকে নিয়ে বিয়ের কাবিন ও বিবাহ পড়াইয়া দিছি। তারা এখন ভালভাবে ঘর সংসার করিতেছে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দুই সন্তানের জনক ধর্ষকের সাথে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বিয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার মহাদান  ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রভাবশালী মহল ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই বিয়ের আয়োজন করে।

স্থানীয় ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের লেবু মিয়ার পুত্র দুই সন্তানের জনক আল আমিন (৩০) একই গ্রামের চাঁন মিয়ার কিশোরী কন্যা (১২) সানাকৈর শেখ খলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ মেলামেশা করে। এক পর্যায়ে কিশোরী কন্যা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মেম্বার আঃ রহিম বাদশা ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কতিপয় মাতাব্বর একজোট হন। কিশোরীর পরিবারকে চাপে ফেলতে আয়োজন করা হয় সালিশ বৈঠক। মাতাব্বর দলু মিয়ার সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসমাইল হোসন, বাঘা মাতাব্বার, বল্লা মিয়া, হাবিবুর রহমান, ফারুক ভূঁইয়া, বন্দুক আলী, নজরুল মুন্সিসহ কয়েকজন। মাতাব্বরদের চাপে ধর্ষিতার পিতা ধর্ষকের সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য হন। মহাদান ইউনিয়নের কাজী আঃ রউফ লিপনের সহকারী কাজী সানাকইর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অফিস সহকারী মোঃ ফজলুল হক চার লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহটি নিবন্ধন করেন। বিয়ে পড়ান স্থানীয় মৌলভী মোহাম্মদ আলী। ৭ মাসের অন্তঃসত্বা কিশোরীর সাথে দুই সন্তানের জনকের বিয়ের ঘটনা এরাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে কথা হলে মহাদান ইউনিয়নের কাজী মোঃ আব্দুর রউফ লিপন বলেন, আপনি আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান লিটুর সাথে কথা বলেন।

সানাকৈর টেকটিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অফিস সহকারী ও স্থানীয় সহকারী কাজী ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি লিটু ভাইয়ের কাছ থেকে বই এনেছি এবং বাদশা মেম্বারের কথামত রেজিস্ট্রি করেছি।

এ ব্যাপারে আঃ রহিম বাদশা ভূঁইয়ার সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সহ স্থানীয়দেরকে নিয়ে বিয়ের কাবিন ও বিবাহ পড়াইয়া দিছি। তারা এখন ভালভাবে ঘর সংসার করিতেছে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে জানিনা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি