ডলারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, কিছু মানুষ খুচরা বাজার থেকে ডলার কেনায় মার্কিন ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। সুতরাং ডলার দাম বাড়ায় আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। বুধবার নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে এক দিনব্যাপী এনবিএফআই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডলারের দাম নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না: গভর্নর
ডলারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, কিছু মানুষ খুচরা বাজার থেকে ডলার কেনায় মার্কিন ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। সুতরাং ডলার দাম বাড়ায় আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। বুধবার নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে এক দিনব্যাপী এনবিএফআই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলে কবির বলেন, আমরা একটি আমদানি নির্ভর দেশ। ফলে পণ্যের আমদানি মূল্য পরিশোধে রিজার্ভে চাপ বাড়ায় মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত আমদানি ব্যয় ৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেখানে রপ্তানি আয় ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে বাণিজ্য ঘাটতি ২৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আমরা আন্তঃব্যাংক মার্কিন ডলার দাম ৮৭.৫০ টাকা নির্ধারণ করেছি কিন্তু বাজারে এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং প্রয়োজনীয় খাবারের আমদানি ব্যয় পরিশোধের জন্য সহায়তা করছে উল্লেখ্য করে ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাজারে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার ছেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে ২.২৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর গত ১১ মে রিজার্ভ ৪১.৯২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৬ বিলিয়ন ডলার। আজ বুধবার রিজার্ভের পরিমাণ ৪২.৩৫ দাঁড়িয়েছে বলে জানান গভর্নর ফজলে কবির।
ফজলে কবির আরও বলেন, জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত, আমরা মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার ৩.২ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে, তবে একটি বা দুটি ছাড়া বাকি সব দেশ তাদের স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন আমাদের থেকে বেশি করেছে।
মন্তব্য