বগুড়ায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে পারভেজ খুন, গ্রেফতার ১

সর্বমোট পঠিত : 117 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

পাপ্পুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান , সুমন সোনাতলা বাজারে মোবাইল সিমের ব্যবসা ছিল এবং তার সাথে মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। সিম বিক্রির টাকা নিয়ে মাসুদের সাথে সুমনের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের মীমাংসের জন্য ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল দুপুর একটার দিকে সুমনকে তার বাড়ী থেকে সোনাতলার করমজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেকে নেয় পাপ্পু। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই মাসুদ, রিপন, আলিফ, তারাজুল, রাজিব ও মনজুর অবস্থান করছিলেন। তবে এর আগে থেকে সবাই মিলে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রাজিব তার কাছে থাকা বার্মিজ চাকু বের করে মাসুদকে দেয়।

বগুড়ায় মোবাইল ফোন সিমের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন পারভেজ ইসলাম ওরফে সুমন(২৮)।  এ ঘটনায় জড়িত দুই বছর পর গত ৮ এপ্রিল রাতে গাজীপুর থেকে মারুফুল ইসলাম ওরফে পাপ্পু (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বগুড়ার পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃত পাপ্পু সোনাতলা উপজেলার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি বুধবার বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালেত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বগুড়া পিবিআই'র পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন। 

এর আগে ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল পারভেজ ইসলাম সুমন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ১২ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যান। নিহত সুমন সোনাতলার ঠাকুরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বাদশার ছেলে। তিনি মোবাইল সীমের এজেন্ট ছিলেন। 

পাপ্পুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান , সুমন সোনাতলা বাজারে মোবাইল সিমের ব্যবসা ছিল এবং তার সাথে মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। সিম বিক্রির টাকা নিয়ে মাসুদের সাথে সুমনের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের মীমাংসের জন্য ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল দুপুর একটার দিকে  সুমনকে তার বাড়ী থেকে সোনাতলার করমজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেকে নেয় পাপ্পু। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই  মাসুদ, রিপন, আলিফ, তারাজুল, রাজিব ও মনজুর অবস্থান করছিলেন। তবে এর আগে থেকে সবাই মিলে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রাজিব তার কাছে থাকা বার্মিজ চাকু বের করে মাসুদকে দেয়।


মাসুদ সুমনকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে সুমনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা সবাই পালিয়ে যায় এবং সুমনকে তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। এরপর সুমন পরেরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যায়। 

এ ঘটনায় ১২ এপ্রিল রাতে নিহত সুমনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামল অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত ভার পাওয়ার পর দীর্ঘ দুই বছর পর গত ৮ এপ্রিল রাতে গাজীপুর থেকে পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশ সুপার  আকরামুল হোসেন আরও  জানান, গ্রেফতারকৃত পাপ্পুকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ  হত্যাকাণ্ডের জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি