এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিকেলে কেরামত ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতদের মধ্যে রহিম মালিথা কেরামত আলী বিশ্বাস গ্রপের, আর লাল্টু, মতিয়ার ও কাশেম মেহেদী হাসানের সমর্থক। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ৪, আশঙ্কাজনক ৮
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে সোমবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিকেল ৫টার দিকে আস্থানগর গ্রামে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, আস্থানগর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে কাশেম (৫০), দাউদ মণ্ডলের ছেলে লাল্টু মণ্ডল (৩০), আবুল মালিথার ছেলে রহিম মালিথা (৫০) ও আফজাল মণ্ডলের ছেলে মতিয়ার (৪০)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিকেলে কেরামত ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতদের মধ্যে রহিম মালিথা কেরামত আলী বিশ্বাস গ্রপের, আর লাল্টু, মতিয়ার ও কাশেম মেহেদী হাসানের সমর্থক। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসম আখতারুজ্জামান মাসুম বলেন, “ঝাউদিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটিকে ‘দলীয় সংঘর্ষ নয়’ বলে তিনি দাবি করেন।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কেরামত আলী ও মেহেদী হাসান গ্রুপের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য