কারারক্ষীদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র সচিব

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসও কারাগারের নাম একসঙ্গে মিশে আছে

কারারক্ষীদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ সমাপনী
সর্বমোট পঠিত : 74 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

৫৮তম কারারক্ষী ব্যাচে ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে ৩১৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৩১৪ জন পুরুষ ও চারজন মহিলা কারারক্ষী রয়েছে। এবারের প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের জন্য সর্ববিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. সাইদ হাসান, পিটিতে প্রথম স্থান অধিকার করায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. নাজমুল হোসেন, বেস্ট ফায়ারার হিসেবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. মেহেদী হাসন ও ড্রিলে প্রথম স্থান নির্বাচিত হওয়ায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. রফিকুল ইসলামের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন স্বরাষ্ট্র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন।

২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন রিক্রুট ৫৮তম ব্যাচের কারারক্ষীদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা) মো. মোকাব্বির হোসেন। এসময় তিনি বলেন, কারাগারে বসেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কারাগারেই বঙ্গবন্ধু তার জীবন ও যৌবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসও কারাগারের নাম একসঙ্গে মিশে আছে।  
মোকাব্বির হোসেন আরো বলেন, কারাগারেই শহীদ হয়েছেন জাতীয় চার নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়েও একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।  

তিনি বলেন, কারাবন্দিদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংশোধন ও পুনর্বাসনের পথ উন্মোচিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ৩৯টি ট্রেডে ৫০ হাজার ৭১ জন বন্দিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আর কারাগারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব কারাবন্দিদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের লভাংশের ৫০ শতাংশ বন্দিদের দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বছরের জুন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৭২৭ জন বন্দিকে ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার জীবিকায়ন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থাসহ কারাবন্দি সন্তানদের বঙ্গবন্ধু বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।  কারাবন্দিদের খাবারের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো, খোরাকি ভাতা বাড়ানোসহ যুগান্তকারী নানা সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বন্দিরা পরিবারের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে ১০ মিনিট করে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরিত করতে শুধু বন্দিদের উন্নয়নই নয়, পাশাপাশি কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।  
উক্ত অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মো: খায়রুজ্জামান, ময়মনসিংহ বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. তৌহিদুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল, প্রশিক্ষণ একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট সুরাইয়া আক্তার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো: গিয়াস উদ্দিন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার হালিমা খাতুনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  

৫৮তম কারারক্ষী ব্যাচে ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে ৩১৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৩১৪ জন পুরুষ ও চারজন মহিলা কারারক্ষী রয়েছে। এবারের প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের জন্য সর্ববিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. সাইদ হাসান, পিটিতে প্রথম স্থান অধিকার করায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. নাজমুল হোসেন, বেস্ট ফায়ারার হিসেবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. মেহেদী হাসন ও ড্রিলে প্রথম স্থান নির্বাচিত হওয়ায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো. রফিকুল ইসলামের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন স্বরাষ্ট্র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি