পুলিশ বলছে, সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক চারজনের মধ্যে দুজনের নাম- প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ফরহাদ মৃধা (৩৮) ও পলাশ মিয়া (৩৪)। বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে সাংবাদিক মহিউদ্দিন মারা গেছেন। ওই মামলায় যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রাজুসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়। বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বুড়িচং থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা নাজমা আক্তার। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, নিহতের মা নাজমা আক্তার মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মামলার আবেদনটি নিয়েছি। আমাদের গ্রেপ্তার তৎপরতা অব্যাহত আছে।
মামলার বাদী নাজমা আক্তার বলেন, তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। পুলিশ সুপার আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুতই আসামিদের ধরা হবে। আমি অপেক্ষায় আছি যারা আমার বুক খালি করছে তাদের শাস্তি দেখার জন্য।
পুলিশ বলছে, সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক চারজনের মধ্যে দুজনের নাম- প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ফরহাদ মৃধা (৩৮) ও পলাশ মিয়া (৩৪)। বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে সাংবাদিক মহিউদ্দিন মারা গেছেন। ওই মামলায় যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে গুলিতে হত্যা করে। নিহত মহিউদ্দিন সরকার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তিনি কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত কুমিল্লার ডাক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। এর আগে তিনি আনন্দ টেলিভিশনের ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং প্রতিনিধি ছিলেন।
মন্তব্য