এ ব্যাপারে জামালপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দীন বলেন, ওই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুত তদন্তসাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ঝিনাইগাতীতে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
![](https://natunjug.com/uploads/news_image/news_5446_1.jpg)
![জুম ইন](https://natunjug.com/uploads/others/ZoomIn-icon.png)
![জুম আউট](https://natunjug.com/uploads/others/ZoomOut-icon.png)
![পরে পড়ুন](https://natunjug.com/uploads/others/Read-later.png)
![প্রিন্ট](https://natunjug.com/uploads/others/Print-icon.png)
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। ওই ঘটনায় ধর্ষকের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী হতদরিদ্র স্কুলছাত্রীর পরিবার। ৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব ধানশাইল গ্রামে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিবেশি নাজমুল হোসেন রিপন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঝিনাইগাতী উপজেলার পূর্ব ধানশাইল গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) বাড়ি ফেরার পথে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি কলাবাগানে ধর্ষণ করে পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার চককাউরিয়া গ্রামের ফরহাদ আলীর ছেলে মো. মাহমুদুল হাসান (১৯)। পরে স্কুলছাত্রী ডাকচিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন মাহমুদুলকে হাতেনাতে আটক করে। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা দিতে চাইলে মাহমুদুলের স্বজনরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি শেরপুরের একটি নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে মাহমুদুল ও স্কুলছাত্রীর বিয়ে করায়। কিন্তু এরপর মাহমুদুল হাসানসহ তার পরিবার ওই স্কুলছাত্রীকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে। পরে ধর্ষণের অভিযোগে গত ২০ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুল হাসান ও আরও একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন ওই স্কুলছাত্রীর পিতা।
স্কুলছাত্রীর পিতা জানান, ধর্ষকের পরিবার এলাকায় খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের তদবিরের কারণে থানায় অভিযোগ দিতে ব্যর্থ হয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পিবিআইয়ের তরফ থেকে তদন্তে কোন অগ্রগতি দেখছি না। আমি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত ধর্ষকের বিচার চাই।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এএইচএম নূরে আলম হীরা জানান, নাবালিকা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর বিয়ের নামে একতরফাভাবে শুধুমাত্র এফিডেভিট করা হয়েছে, যা কোনভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশী মামলা দায়েরের পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ঘটনাটির তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে দেন।
এ ব্যাপারে জামালপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দীন বলেন, ওই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুত তদন্তসাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মন্তব্য