আয়োজকরা জানান, এই নাটকটি জামালপুর জেলার পর শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চায়িত হচ্ছে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৃথক কয়েকটি দল নাটকটি মঞ্চস্থ করবে। এই দলটি আগামী ১০ এপ্রিল হাড়িয়াকোনা ব্যাপ্টিস্ট মাঠ প্রাঙ্গনে নাটক করবে। এভাবে গ্রামে গ্রামে জনসচেতনতা বাঁড়াতে কাজ করবে।
বাবেলাকোনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে গণসচেতনতামূলক নাটক অনুষ্ঠিত
অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী বাবেলাকোনায় কিশোরীদের বয়সন্ধিকালীন পুষ্টি বিষয়ক গণসচেতনতামূলক নাটক 'রিনার গল্প' মঞ্চায়িত হয়েছে। ৭ এপ্রিল রোজ বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় বাবেলাকোনা রজনীগন্ধা কিশোর-কিশোরী সাংস্কৃতিক দলের অংশগ্রহণে নাটকটি বাবেলাকোনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ব্লিংস প্রকল্পের আয়োজনে নারী-পুরুষের সমতা ও পুষ্টি বিষয়ক নাটকে গ্রামীন সমাজের ভুল ধারণা ও তার সমাধান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। নাঁচ, গান, শিক্ষনীয় ও হাস্যরসিক সংলাপে ভরপুর থিয়েটার নাটকে কিশোরীদের বয়সন্ধিকালে মাসিক শুরুর দিকে আয়রন, ফলিক এসিড টেবলেট, ৬ মাস পর পর কৃমির ঔষধ সেবন এবং টিটেনাস টিকা ৫ ডোজ দিতে হবে। দেহের পুষ্টির জন্যে ৬ রকমের খাবার গ্রহণ। যেমন : ভিটামিন, শর্করা, আমিষ, স্নেহ, লবণ ও পানি ইত্যাদি। তাছাড়া ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাকে শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। ৬ মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়ানো। তাছাড়া ৪০ মিনিটের নাটকে ৩ বার সচেতনতা বার্তা প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা কর্ণিয়া সাংমা, ব্লিংস প্রকল্প অফিসার রাম প্রসাদ, সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান রানা, জাকির হোসেন, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আদিবাসী নেতা সবুজ কোচ, ছাত্র নেতা শোভন দালবত, টিপু সুলতান প্রমূখ। এছাড়াও সহকারী শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় মুরব্বি শিশু ও যুবক যুবতীরা উপস্থিত ছিলেন।
নাটক শেষে গল্পের মূল্যায়ন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান রানা বলেন, 'গণসচেতনতামূলক নাটকের সংলাপগুলি পাঠ্য পুস্তকে লিপিবদ্ধ আছে কিন্তু, বিনোদনের মাধ্যমে খুব সহজে বুঝানোর অভিনব কৌশলগুলি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।"
নাটকের প্রশিক্ষক সিদ্দিকা মুরশেদ সুমাইয়া বলেন, "আমাদের সমাজ হতে এখনো কুসংস্কার ও ভুল ধারণা মুছে যায়নি; সংলাপকে ফুটিয়ে শ্রোতামধুরভাবে যেভাবে উপস্থাপিত হলো, আশা করি আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি।"
স্কুল ছাত্রী সাদিয়ার মতে, "যে কথাগুলি ক্লাসে শুনে বুঝিনাই, আইজকে বুঝলাম। এরহম সবহানে করার দরকার।"
আয়োজকরা জানান, এই নাটকটি জামালপুর জেলার পর শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চায়িত হচ্ছে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৃথক কয়েকটি দল নাটকটি মঞ্চস্থ করবে। এই দলটি আগামী ১০ এপ্রিল হাড়িয়াকোনা ব্যাপ্টিস্ট মাঠ প্রাঙ্গনে নাটক করবে। এভাবে গ্রামে গ্রামে জনসচেতনতা বাঁড়াতে কাজ করবে।
মন্তব্য