হারিয়ে যাওয়া মোবাইল খুঁজে দেওয়ার নামে বগুড়ায় নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ: গ্রেফতার ৫

সর্বমোট পঠিত : 223 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ প্রসঙ্গে সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শাহীনুজ্জামান জানান, বগুড়া সদর থানার ওসি মো: সেলিম রেজার নেতৃত্বে মামলা দায়েরের পর দ্রুততম সময়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মোহন ইতিমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সাথে গ্রেফতার ৪ কিশোরকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতারেও চেষ্টা চলমান রয়েছে।

হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন খুঁজে দেওয়ার নামে সংঘবদ্ধভাবে বগুড়ায় এক নারী শ্রমিক (২৬) কে গণধর্ষণের অভিযোগে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১ টার দিকে সদর উপজেলার ইসলামপুর হরিগাড়ী গ্রাম থেকে চার কিশোরসহ মোঃ মোহন (২০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া ৪জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তাদের সবার বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তবে গ্রেফতার যুবক মোহন হরিগাড়ী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে গ্রেফতার মোহন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক সদর উপজেলার একটি জুট মিলে কাজ করেন।

গত ১১ মার্চ রাতে ওই মিলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠান শেষে কোয়ার্টারে ফেরার পথে তার মুঠোফোন হারিয়ে যায়। এ সময় তার সহকর্মী ও গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মোহন ওই নারীর মুঠোফোন খুঁজে দেওয়ার কথা বলে পাশের একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে মোহনসহ অভিযুক্ত চার কিশোর ও অজ্ঞাত আরও দুইজন ব্যক্তি সেই নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণ শেষে অভিযুক্তরা ওই নারীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
 
ঘটনার পরে রোববার রাত ৮ টার দিকে গনধর্ষণের শিকার নারী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোহন, গ্রেফতার চার কিশোরসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে আসামি করা হয়।

এ প্রসঙ্গে সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শাহীনুজ্জামান জানান, বগুড়া সদর থানার ওসি মো: সেলিম রেজার নেতৃত্বে মামলা দায়েরের পর দ্রুততম সময়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মোহন ইতিমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সাথে গ্রেফতার ৪ কিশোরকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতারেও চেষ্টা চলমান রয়েছে।


মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি