এক দিনে শনাক্ত ১৬ হাজার, মৃত্যু ১৮

এক দিনে শনাক্ত ১৬ হাজার, মৃত্যু ১৮
সর্বমোট পঠিত : 67 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ জনের।

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রোগী ও সংক্রমণের হার প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৩৩ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। আর শনাক্ত হার পাওয়া গেল দুই বছর আগের রেকর্ড ছুঁইছুঁই।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

গত বছর দেশের ইতিহাসে পরীক্ষার বিপরীতে সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫, যা শাটডাউন চলাকালে গত ২৪ জুলাইয়ের চেয়ে বেশি সংক্রমণের হার পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। যাদের মধ্যে দুজন শিশু। এদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দুই, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচ, ও ষাটোর্ধ্ব চার, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচ জন।

এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় আট জনের প্রাণ গেছে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ছয় জন। এ ছাড়া একজন করে মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে।

গত একদিনে শনাক্তের প্রায় ৭০ শতাংশই ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ২৪ ঘন্টায় ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৪৮৭ জন।

করোনা নুমনা পরীক্ষা, সংক্রমণ ও শনাক্তের হার সবকিছুই রেকর্ডের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় নুমনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯২ জন। দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত বছরের ২৬ জুলাই। সেদিন ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।

গত ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। জানুয়ারি থেকে আবার শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে করোনার সংক্রমণ, শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ২০ দিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে। এই সময়ে শনাক্তের হার বেড়েছে ২৯ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথমে ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ঢেউ দেখেছে সরকার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের একপর্যায়ে দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ওই সময় বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল।

এবার বিধি-নিষেধ দিলেও প্রসাশনের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটি এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখনও নকডাউনের চিন্তা করছে না।

এর মধ্যে প্রথম ঢেউ থাকে ২০২১ সালের শুরু পর্যন্ত। একই বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার ছিল তুলনামূলক বেশি। তৃতীয় ঢেউয়ে এসে শনাক্ত ও শনাক্তের হার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শাটডাউনকালের বিধিনিষেধের সমান হলেও মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি