বিদায় হে বন্ধু!

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বগুড়া জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিম পোদ্দার
সর্বমোট পঠিত : 176 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বিদায় হে বন্ধু!

যে উপন্যাসের শেষ অংশ মনকে বিলীন করে মহাকাশের শূন্যতায় যে শেষের কবিতার শেষ শব্দটায় পৃথিবী থমকে দাঁড়ায় কোন এক অজানা মায়ায়। সেই উপন্যাস আর শেষের কবিতা "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ" যে গল্পের গন্তব্য হৃদয়ের অচিনপুর সেই গল্পের সমাপ্তি সুরে অন্তরে অকৃত্রিম রবে মন বলে উঠবে কেন শেষ হল ধুর। ছাত্র রাজনীতির গল্পটা হয়তোবা শেষ কিন্তু অলিতে-গলিতে পিচ ঢালা রাজপথে অথবা ফেসবুকে কথা আলোচনা বা চায়ের কাপে থেকে যাবে এর রেশ। জীবনের জন্মই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য একজন সফল রাজনীতিবিদের রাজনীতির হাতে খড়ি হয় ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়ে। তবে ছাত্র রাজনীতিকে একদিন বিদায় বলতেই হবে এটাই বাস্তবিক। সঠিক সময়ে সময়ের তাগিদেই বিদায় বলতে পারাটাও একটা গুণ। মস্ত বড় গুন। মাঝখানে বগুড়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নানা ঘাত প্রতিঘাতের  প্রেক্ষিতে গুড বাই অন্য ভাবে বলতে চেয়েও কোন এক অজানা মায়ায় নিজেকে জড়িয়ে  পোস্ট নিয়েও ল্যাম্প পোস্ট এর মতো দাঁড়িয়ে থেকেও সংগঠনের ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখিনি।  জীবনের এই সোনালী অধ্যায়টির জন্য কৃতজ্ঞচিত্তে স্বরণ করছি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি উত্তর বঙ্গের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত  জননেতা আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যার হাত ধরে বগুড়ার  রাজনীতি অঙ্গনে আমার পদচারণা। যার রাজনৈতিক শিক্ষা দীক্ষায় নিজেকে অনুপ্রাণিত করে রাজনীতির মধ্যে আগামী দিনেও নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই সেই পরম শ্রদ্ধাভাজন আমার রাজনৈতিক স্বপ্নদ্রষ্টা সুলতান মাহমুদ খান রনি ভাই কে।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের কমিটিতে আমাকে স্থান দিয়ে পরিচয় দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন সেই প্রিয় দুই নেতা সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় কে। পাশাপাশি চির কৃতজ্ঞ চির ঋণী হয়ে থাকবো যাদের সহযোগিতা ভালবাসা ও পরম যত্নে আমার চলার পথ মসৃণ হয়ে ছিল। সেই সকল বড় ভাই, সহযোদ্ধা বন্ধু, ও ছোট ভাইদের কাছে চির ঋণী হয়ে থাকবো আজীবন। ক্ষমা করে দিও যারা আমার চলার পথের পাথেয় হয়ে স্বপ্ন দেখেছিলে আগামী নেতৃত্বের, হয়তো স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে তবে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে অনেক দূর। আগামী দিনে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার লড়াইয়ে যারা লড়ে যাচ্ছো সেই সকল দীর্ঘ দিনের সহযোদ্ধাদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। বিদায়ের দুঃখ  হয়তো পদ্মা মেঘনা যমুনায় বহমান তবে বঙ্গোপসাগরের অতল সাক্ষী এই বিদায়ে কোন ক্ষোভ নেই।

চলে যাওয়া মানেই যে প্রস্থান নয়। আবারো দেখা হবে চিরচেনা রাজপথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে হয়তোবা অন্য কোন ব্যানারে।

বিদায় হে বন্ধু বিদায়...


লেখক:
মিম পোদ্দার
সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বগুড়া জেলা শাখা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি