কুড়িগ্রামে অনেকাংশে কমেছে করোনা সংক্রমণের হার

কুড়িগ্রামে অনেকাংশে কমেছে করোনা সংক্রমণের হার।
সর্বমোট পঠিত : 248 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

করোনা মোকাবেলা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্বের ন্যায় বিভিন্নভাবে পোস্টারিং, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যারা এখন পর্যন্ত টিকা গ্রহণ করেননি তাদেরকে ঠিকা গ্রহণে আগ্রহী করা হচ্ছে। এছাড়াও সরকার ঘোষিত আইন যারা অমান্য করছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথাও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ মরণঘাতী ভাইরাস করোনা সংক্রমণে সরকার ঘোষিত জোনের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা পড়েছে গ্রীন জোনে।

মারাত্মক আকার ধারণ করা ভাইরাস ওমিক্রণ ও ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর প্রভাবে বিশ্ব যখন আতঙ্কিত এবং দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও  এর হার ঊর্ধ্বমুখী, সেদিক দিয়ে স্বস্তির কথা হলো কুড়িগ্রাম জেলায় এই সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর পরিমাণ সেসব জেলার তুলনায় অনেক কম।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে(১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত) সংক্রমণের লক্ষণ থেকে এন্টিজেন টেস্ট করে ৩২ জনের মধ্যে ৫ জনের শরীরে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে , এটি শতকরা হিসেবে ১৫.৬২% এবং করোনা আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা শূন্য তবে এই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ালে সংক্রমিত ব্যাক্তির সংখ্যা আরো কম-ও হতে পারে কিংবা বাড়তেও পারে।

 স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিভাগ সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আখের জানান, জেলায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থীর শরীরে টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গতকাল ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার দুইশত তিন জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ।
 এদিকে জেলায় করোনা টিকার বিষয়ে জানা যায়, জেলার মোট জনসংখ্যার (২৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৫৯ ) ৫১ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার টিকা ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে বলেও জানা যায়।

উক্ত পরিসংখ্যান ও টেস্টের সংখ্যার বিষয় জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনজুর-এ-মোর্শেদ উক্ত পরিসংখ্যান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, টেস্টের সংখ্যা বাড়লে এর সংক্রমনের সংখ্যাটা আমাদের আরও স্পষ্ট হতো। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানগণকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার পরেও সাধারন জনগনের অনাগ্রহের কারণে এই টেস্টের সংখ্যা আশানুরূপ পর্যায়ে করা যাচ্ছে না, আমরা এর অগ্রগতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

করোনা মোকাবেলা ও  জনসচেতনতা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্বের ন্যায় বিভিন্নভাবে পোস্টারিং, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যারা এখন পর্যন্ত টিকা গ্রহণ করেননি তাদেরকে ঠিকা গ্রহণে আগ্রহী করা হচ্ছে। এছাড়াও সরকার ঘোষিত আইন যারা অমান্য করছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথাও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি