এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করতেছি এটা একটা আত্মহত্যা। কারণটা মনে হলো মোবাইল ফোন না পাওয়ায় মনের ক্ষোভ থেকে আত্মহত্যা। জিডি করে, ময়না তদন্তের জন্য লাশ সকালে পাঠাবো। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
ফাঁসিতে ঝুলে নববধুর আত্মহত্যা এখনো রহস্য অজানা
বিয়ের ২ মাস যেতে না যেতেই কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এক নববধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের মাঝিটারি নামক গ্রামে ১১ জানুয়ারী মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ১টার সময় । রত্নার মৃত্যুতে তাদের দু'পরিবারের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
পরিবার, এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস কয়েক দিন পূর্বে নলেয়া গ্রামের হরিবালার বড় ছেলে বিরবলের সাথে লালমনিরহাটের কুলাঘাট গ্রামের তেরপু বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী রতনার বিয়ে হয়।
মেযের স্বামী বিরবল বলেন, আমি সকালে মাছের ব্যবসার জন্য কুড়িগ্রামে রওনা দিয়ে নাগেশ্বরী পৌছালে পথিমধ্যে ফোনে জানতে পারি যে, স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তখন আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। প্রায় দুই মাসের সংসারে আমাদের মধ্যে বনিবনার কমতি ছিল না ।
বড় বোন আরতি রানি বলেন, গতকাল রাতে আমার বোনের সাথে কথা হয়, পুশনা(পিকনিক) খাওয়ার ব্যপারে। আজ সকালে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করি, কয়েক বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না। দুপুরে আবার আমার ভগ্নিপতি বিরবল কে ফোন দিলে সে বলে দিদি (রত্না) ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমরা এসে দেখি পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে লাশ পেকেটিং করেছে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করতেছি এটা একটা আত্মহত্যা। কারণটা মনে হলো মোবাইল ফোন না পাওয়ায় মনের ক্ষোভ থেকে আত্মহত্যা। জিডি করে, ময়না তদন্তের জন্য লাশ সকালে পাঠাবো। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
মন্তব্য