বিশ্বে আবারো উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

প্রতীকী ছবি
সর্বমোট পঠিত : 251 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

করোনাভাইরাসে জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আবারো রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকিতে শিশুরাও। সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে বাড়ছে বিধিনিষেধের বেড়াজাল। বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীর জন্য ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলকসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকাও বৃদ্ধি করেছে দেশটির সরকার। মূলত টিকা না নেওয়া ব্যক্তি ও ওমিক্রনের সুনামিতে আবারো করোনা রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বে আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৭ লাখ মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৬৯ জন।

করোনাভাইরাসে জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আবারো রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকিতে শিশুরাও। সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে বাড়ছে বিধিনিষেধের বেড়াজাল। বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীর জন্য ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলকসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকাও বৃদ্ধি করেছে  দেশটির  সরকার। মূলত টিকা না নেওয়া ব্যক্তি ও ওমিক্রনের সুনামিতে আবারো করোনা রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়াতে এক বছর সময় লাগলেও ডেল্টার দাপটে পরের ১০ কোটি শনাক্তে লাগে অর্ধেক সময়। ওমিক্রনের বিস্তারে এর পরের ১০ কোটি শনাক্তে সময় লেগেছে আরও কম। তবে গেল কয়দিনে ২০ লাখের ঘর অতিক্রম করছে করোনা। প্রতিনিয়ত গড়ছে সংক্রমণের রেকর্ড। যা এখন ২৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই একদিনে শনাক্ত হচ্ছে ৮ লাখের বেশি রোগী। এরিমধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নানা সংকট দেখা দিয়েছে। দশটিতে ওমিক্রনে শিশুদের আক্রান্ত বাড়ছে।

ভারতে একদিনে প্রায় দেড় লাখ রোগী সনাক্ত হয়েছে। জানুয়ারির শেষে এই সংখ্যা দৈনিক ৪ থেকে ৮ লাখে পৌঁছতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য বলছে, করোনা পরীক্ষায় বর্তমানে প্রতি পাঁচজনে শনাক্ত হচ্ছেন একজন। সংক্রমণ মাত্রাছাড়া হয়ে ওঠায় বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীর জন্য ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলকসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকাও বৃদ্ধি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

এদিকে সংক্রমণের জেরে বিশ্বব্যাপি ভেঙ্গে পড়তে পারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার। যুক্তরাজ্যে হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তার জন্য সেনা সদস্যদের নিয়োগ করেছে করা হয়েছে। সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকায় মসজিদে অবস্থানকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে কুয়েতের সরকার।

মূলত টিকা না নেওয়া ব্যক্তি ও ওমিক্রনের সুনামিতে আবারো করোনা রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি