ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা

তালতলায় চিরতরে ঘুমিয়ে রইলেন ফকির আলমগীর

ফকির আলমগীর
সর্বমোট পঠিত : 267 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ফকির আলমগীর। তার আগে ১০টার দিকে হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।


গণসংগীতের কিংবদন্তি গায়ক ফকির আলমগীরকে খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ  বাদ জোহর খিলগাঁও মাটির মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বেলা ২ টার দিকে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর দাফন সম্পন্ন হয়।

তার দাফনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ফকির আলমগীর। তার আগে ১০টার দিকে হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

আজ সকাল ১১টায় খিলগাঁও পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়  বীর মুক্তিযোদ্ধা এই শিল্পীকে।

এর পর দুপুর ১২টায় ফকির আলমগীরের মরাদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে সেখানে হাজির হন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। শহীদ মিনারে এক ঘণ্টা রাখার পর খিলগাঁও মাটির মসজিদ প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

১৪ জুলাই করোনার নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে ফকির আলমগীরের। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। পরদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর রাত ১টার দিকে তাকে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

গণসংগীত ও দেশীয় পপ সংগীতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন ফকির আলমগীর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। তার ‘ও সখিনা’ গান এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি