একই স্থানে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় শুরু হয় সংগীতানুুষ্ঠান। চলে নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত আটটায় শূণ্যাণ রেপার্টরি থিয়েটারের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নাটক ‘লাল জমিন’। এছাড়া নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় পালা: খোকা মুজিব বঙ্গবন্ধু। বিভাগীয় প্রধান আল জাবিরের নির্দেশনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাসব্যাপী অনুষ্ঠান সমাপ্ত
উৎসবমুখর পরিবেশে নানাবিধ অনুষ্ঠান পরিচালনার মধ্যদিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাসব্যাপীচলা অনুষ্ঠানমালা সমাপ্ত হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সকলের অংশগ্রহণে মাসব্যাপী এই অনুষ্ঠান মালা ছিল প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর। এবারের আয়োজনকে উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির জনক ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ লাখো মানুষকে। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) শেষদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে। ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশে সাহিত্যের
পঞ্চস্বর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, আলোচনা ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করা হয়। কবিতা নিয়ে আলোচনায় অতিথি কবি হিসেবে অংশগ্রহন করেন কবি সেলিম মাহমুদ, কবি আবু সাঈদ কামাল, কবি মুইন হুদা। বিশ^বিদ্যালয় থেকে অংশ গ্রহণ করেন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন, দ্রাবিড় সৈকত, তুহিনুর রহমান (তুহিন অবন্ত), আসিফ ইকবাল আরিফ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ নাহিদুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, সদস্য-সচিব তপন কুমার সরকার,প্রক্টর
প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানসহ অন্যান্যরা।
একই স্থানে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় শুরু হয় সংগীতানুুষ্ঠান। চলে নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত আটটায় শূণ্যাণ রেপার্টরি থিয়েটারের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নাটক ‘লাল জমিন’। এছাড়া নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় পালা: খোকা মুজিব বঙ্গবন্ধু। বিভাগীয় প্রধান আল জাবিরের নির্দেশনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা
পালায় অংশ নেন।
মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী যে আয়োজন করা হয়েছে তা দেশের বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনকের নেতৃত্ব ও লাখো শহীদের রক্ত ও আতœত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রয়োগ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে আয়োজিত মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আজ সমাপ্ত হল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতাকে বাইরে রেখে যে চেতনার অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে, তা আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রামের আদর্শ বাস্তবায়নে চির জাগরুক রাখবে।
মন্তব্য