শেরপুরে মাদ্রাসাপড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণ ॥ ধর্ষককে ধরে পুলিশে দিল মুসল্লীরা

শেরপুরে মাদ্রাসাপড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণ ॥ ধর্ষককে ধরে পুলিশে দিল মুসল্লীরা
সর্বমোট পঠিত : 169 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।

শেরপুরে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) কে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে মসজিদের মুসল্লীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের ডুবারচর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। একইদিন দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ওই শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ধর্ষক রাজ্জাক স্থানীয় ভাটিপাড়া সরকার বাড়ির মৃত মামুন সরকারের ছেলে। অন্যদিকে ধর্ষক আব্দুর রাজ্জাককে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক সরকার এলাকায় লম্পট হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশী দরিদ্র রিকশাচালকের ১০ বছর বয়সী ওই শিশু মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। কুয়াশাঢাকা সকালে ওই রাস্তায় লোকজন ছিল না। লম্পট রাজ্জাক ওই সুযোগে শিশুকে গ্রামের একটি দোকান থেকে জুস কিনে দেওয়ার কথা বলে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চিৎকার শুনে পাশের মসজিদ ও আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে যায় এবং রাজ্জাককে আটক করে। পরে উত্তেজিত জনতা ধর্ষককে পিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, ইতোপূর্বে লম্পট রাজ্জাক তার নিকট আত্মীয়’র ২ মেয়েকে ধর্ষণ করলে স্থানীয়ভাবে আপোষ-রফা করা হয়। পরে সে একটি ছেলেকেও বলাৎকার করলে সেই মামলায় প্রায় ৩ বছর জেল খাটে।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি