ঈদের এই দুই দিন বিশেষ করে গণভবন সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে। যেকোনো মানুষ গণভবনে ঢুকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে গত বছর থেকে প্রধানমন্ত্রী জনগণের সেই অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা তার জন্য একটি বেদনার বিষয়।
জনগেনর সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পারা প্রধানমন্ত্রীর বেদনার বিষয়
প্রধানমন্ত্রী ২ গরু ৬ ছাগল, খালেদা জিয়ার ১ গরু ১ ছাগল দিয়ে কোরবানি আদায়
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ দুটি গরু ও ছয়টি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি জানান, এই কোরবানির মাংস গণভবনের কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, ঈদের এই দুই দিন বিশেষ করে গণভবন সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে। যেকোনো মানুষ গণভবনে ঢুকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে গত বছর থেকে প্রধানমন্ত্রী জনগণের সেই অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা তার জন্য একটি বেদনার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী সবাইেক সতর্ক থেকে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য করোনার মহামারীর জন্য প্রধানমন্ত্রী সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কারণে গণভবনে সাধারণ মানুষের ঢুকার ওপর বিধি-নিষেধ রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়। বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসনের এক আত্মীয় এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে খালেদা জিয়া একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন। কোরবানির পশুর মাংসের কিছু অংশ তার বাসভবনের স্টাফরা খাবারের জন্য রেখেছেন। অধিকাংশ রাজধানীর কয়েকটি এতিমখানা এবং আশপাশের গরিবদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। এছাড়া গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর ঈদের দিন দুপুরে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন খালেদা জিয়া। এবারও তার ভাই শামীম ইসকান্দার, তার পরিবারের সদস্য ও তার আরেক ভাই প্রয়াত সাঈদ ইসকান্দারের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যরা খালেদা জিয়ার কাছে আসেন। তারা দুপুরে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
মন্তব্য