গাইবান্ধার রকির হত্যাকারীরা কারাগারে গিয়েও প্রভাব বিস্তারে মারামারিতে জড়িয়েছে আহত ৪, বদলি ৩ আসামী

প্রভাব বিস্তারে মারামারিতে জড়িয়েছে আহত ৪, বদলি ৩ আসামী
সর্বমোট পঠিত : 293 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

কারাগারে দুই গ্রুপরে মারামারির ঘটনার বিষয়টি জানতে কথা হয় জেলার মো. আমজাদ হোসেন ডনের সাথে। তিনি মুঠফোনে বলেন, বন্দি আসামি সৈকত ও কাঞ্চনসহ ৭-৮ জন মিলে কারাগারে প্রভাব বিস্তার করাসহ আসামিদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছিল। প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে বিচার চায় সাধারণ কারাবন্দিরা। এ নিয়ে তাদের উপর অনেক আসামিই ক্ষিপ্ত ছিল। শনিবার দুপুরে সৈকত ও কাঞ্চনসহ কয়েকজনের সাথে কথাকাটাকাটির জেরে অন্য আসামিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করে ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগতের কথা জানান তিনি।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকি হত্যার আসামীরা কারাগারে গিয়েও প্রভাব করতে মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেলা কারাগারে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দি দুই গ্রুপ আসামিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই কারারক্ষীসহ চারজন আসামি আহত হয়েছে। পরে সাইরেন বাজিয়ে কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত তিন আসামিকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে দিনাজপুর জেলা কারাগারে।

গতকাল ২০ নভেম্বর শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কারাগারের ভিতরে এই মারামারি ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহত কারারক্ষীরা হলেন, খোকন (গোয়েন্দা) ও একরামুল হক (সহকারী) কারারক্ষী।

আহত আসামি চারজনের মধ্যে তিনজনকে পাঠানো হয়েছে দিনাজপুর জেলা কারাগারে। অপর আসামিকে কারাগারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন, রকি হত্যা মামলার আসামী শাদ মাহমুদ সৈকত, কাঞ্চন, আর মাদক মামলার আসামী জহুরুল ওরফে (ওসি)।এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গাইবান্ধা জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে কারাগারে দুই গ্রুপ আসামির মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরেই কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে আসামি সৈকত, কাঞ্চন ও জহুরুল ওরফে ওসিকে বিকেলেই বদলি করে পাঠানো হয় দিনাজপুর কারাগারে। কারাগারে বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাদেরকে গাইবান্ধা কারাগার থেকে দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কারাগারে দুই গ্রুপরে মারামারির ঘটনার বিষয়টি জানতে কথা হয় জেলার মো. আমজাদ হোসেন ডনের সাথে। তিনি মুঠফোনে বলেন, বন্দি আসামি সৈকত ও কাঞ্চনসহ ৭-৮ জন মিলে কারাগারে প্রভাব বিস্তার করাসহ আসামিদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছিল। প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে বিচার চায় সাধারণ কারাবন্দিরা। এ নিয়ে তাদের উপর অনেক আসামিই ক্ষিপ্ত ছিল। শনিবার দুপুরে সৈকত ও কাঞ্চনসহ কয়েকজনের সাথে কথাকাটাকাটির জেরে অন্য আসামিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করে ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগতের কথা জানান তিনি।


মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি