স্ত্রীর মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্ত্রীর মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সর্বমোট পঠিত : 277 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বাদী বলেন, ‘আমি হতবাক যে, আমার অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করতে দিদার ভুয়া তালাকপত্র দাখিল করেছে আদালতে। সেখানে তাঁর সংগঠনের সদস্যরা আমার পক্ষে সাক্ষী হিসেবে কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আইন অবশ্যই দিদার এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সঠিক রায় দেবে।’

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর করা মামলায় রাষ্ট্রচিন্তা এবং রাষ্ট্র সংস্করণ সংগঠনের অন্যতম সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক এ পরোয়ানার নির্দেশ দেন।

গত ২৫ মে করা এ মামলায় রবিবার পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্থানান্তর করেন। সেই সঙ্গে দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তফা কামলা প্রিন্স।

আগের বিয়ে গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করা এবং পরবর্তীতে বিচ্ছেদের জন্য নির্যাতন করার অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন দিদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। ১৭ জুলাই ঢাকার বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে ২৯ আগস্ট জামিন পান।


এ মামলায় জামিন নিতে দিদারুল যে তালাকপত্র (খোলা তালাক) জমা দেন তা ভুয়া দাবি করে ২২ সেপ্টেম্বর দিদারুল এবং তালাকনামায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রচিন্তার অপর দুই সদস্য ফরিদুল হক এবং ইমরানুল হক ইমনকে অভিযুক্ত করে সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন বাদী। মামলাটি এখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে তদন্তাধীন।

বাদী বলেন, ‘আমি হতবাক যে, আমার অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করতে দিদার ভুয়া তালাকপত্র দাখিল করেছে আদালতে। সেখানে তাঁর সংগঠনের সদস্যরা আমার পক্ষে সাক্ষী হিসেবে কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আইন অবশ্যই দিদার এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সঠিক রায় দেবে।’

এ বিষয়ে জানতে দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি