এদিকে, বাইগড়পাড়া গ্রামের অপর কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, তিনি দেড় একর জমিতে হাইব্রিড ধানী গোল্ড জাতের ধান লাগিয়ে ছিলেন ইতোমধ্যে তা কাটতে শুরু করেছেন। এছাড়া উপজেলার বেশ কিছু উচু এলাকায় হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও বিনা-৭ জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। এসব ধানের ভাল ফলন পাচ্ছেন বলে কৃষকরা এসাংবাদিককে জানান।
এবছর আমন আবাদে নালিতাবাড়ীতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
শস্য ভান্ডার খ্যাত শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি আমন আবাদে সোনালী ফসলে মাঠ ভরে গেছে। এতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কৃষিবিভাগ এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। ফলন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪১৪ মেট্রিক টন চাল। এরমধ্যে ৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে উফশী ও ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান রোপিত হয়েছে।
উপজেলার নন্নী পূর্ব পাড়া গ্রামের কৃষক জমশেদ আলী বলেন, তিনি এবারের আমন আবাদে ২০ শতাংশ জমিতে দেশী পাইজাম ও ২৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-ধান ৪৯ জাতের ধান লাগিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ফসল ভালো দেখা যাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যদি ধানের বাজার দর ভাল থাকে তাহলে খরচ বাদে লাভবান হবেন। আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, তিনি ১ একর ৫০ শতাংশ জমিতে স্থানীয় স্বর্ণলতা ও ইন্ডিয়ান পাইজাম জাতের ধান লাগিয়েছেন। আবাদ খুব ভাল হয়েছে। ধান কাটার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বাইগড়পাড়া গ্রামের অপর কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, তিনি দেড় একর জমিতে হাইব্রিড ধানী গোল্ড জাতের ধান লাগিয়ে ছিলেন ইতোমধ্যে তা কাটতে শুরু করেছেন। এছাড়া উপজেলার বেশ কিছু উচু এলাকায় হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও বিনা-৭ জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। এসব ধানের ভাল ফলন পাচ্ছেন বলে কৃষকরা এসাংবাদিককে জানান।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর সাংবাদিকদের বলেন, এই উপজেলায় চলতি আমন আবাদে পোকা মাকড়ের আক্রমন নেই বলা চলে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আবাদ ভাল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কোন রকম প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দিলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মন্তব্য