পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ড: হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন ২ বিচারক

পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ড: হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন ২ বিচারক
সর্বমোট পঠিত : 319 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

পরে বিষয়টি নিয়ে ফের ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট এবং পরবর্তী আদেশের জন ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে হাইকোর্ট দুই বিচারককে পুনরায় ব্যাখ্যা দিতে বলেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন দুই বিচারকের আইনজীবী এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ফলে সেদিন আর শুনানি হয়নি। এরপর দুই বিচারক আজ হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড দেওয়া দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন তারা। দুপুরের পর এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমণিকে চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

পরে ১৩ আগস্ট পরীমণির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এর পর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমণিকে একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমণিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ অবস্থায় সুপ্রিমকোর্টের রায় না মেনে পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

এরপর ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি মেলে তার।

এদিকে আসকের পক্ষে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ সেপ্টেম্বর এক আদেশে পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুর করার বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে ১০ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পরীমণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা মাদক মামলার সব নথিও তলব করা হয়।

এরপর দুই বিচারক হাইকোর্টে তাদের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তবে তাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। ব্যাখ্যার বিষয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বলেন, 'হাইকোর্টকে অবজ্ঞা করেছেন এই দুই বিচারক।' ব্যাখ্যার বিষয়ে আদালত আরও বলেন, ‘ত্রুটি যে হয়েছে তা ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বাস করেন না। হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন করা হয়েছে।’

পরে বিষয়টি নিয়ে ফের ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট এবং পরবর্তী আদেশের জন ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে হাইকোর্ট দুই বিচারককে পুনরায় ব্যাখ্যা দিতে বলেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন দুই বিচারকের আইনজীবী এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ফলে সেদিন আর শুনানি হয়নি। এরপর দুই বিচারক আজ হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেছেন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি