নিহতের বাবা উকিল মিয়া বলেন, আমার মেয়ে আমাকে দেখে ঘর থেকে রাস্তায় আসে। কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে গাড়ী ভাড়া দিতেছিলাম। এসময় ওই ইজিবাইকটি আমার মেয়েকে চাপা দেয়। পরে ইজিবাইকের চালকসহ আমরা সবাই মিলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আমার মেয়ে মারা যায়। কিন্তু সু-কৌশলে চালক পালিয়ে যায়। আমি চালকের বিচার দাবি করছি।
শ্রীবরদীতে ইজিবাইকের চাপায় শিশুর মৃত্যু
শ্রীবরদীতে ইজিবাইকের চাপায় তিন বছরের শিশু অনিকা নিহত হয়েছে। রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই এলাকার উকিল মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই শিশুর বাবা উকিল মিয়া ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির সামনে ইজিবাইকটি দাঁড়ালে বাবাকে দেখে ঘর থেকে দৌঁড়ে বাবার কাছে আসতে থাকে শিশু অনিকা। এসময় ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে আরেকটি দ্রুত গতির ইজিবাইক অনিকাকে চাপা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু অনিকা।
নিহতের বাবা উকিল মিয়া বলেন, আমার মেয়ে আমাকে দেখে ঘর থেকে রাস্তায় আসে। কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে গাড়ী ভাড়া দিতেছিলাম। এসময় ওই ইজিবাইকটি আমার মেয়েকে চাপা দেয়। পরে ইজিবাইকের চালকসহ আমরা সবাই মিলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আমার মেয়ে মারা যায়। কিন্তু সু-কৌশলে চালক পালিয়ে যায়। আমি চালকের বিচার দাবি করছি।
নিহতের মা রাত্রী বেগম বলেন, আমার মেয়েকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে ওই অটো গাড়ী। আমার বুক থেকে আমার মানিককে কেঁড়ে নিয়েছে। আমি চালকের বিচার চাই।
রাণীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনায় স্থানীয়রা ইজিবাইকটি আটক করেছে। কিন্তু চালক পালিয়ে গেছে।
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ অমিয় জ্যোতি সাইফুল্লাহ বলেন, শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য