লঙ্কাবধে বিকালে মাঠে নামবে টাইগাররা

বিকালে মাঠে নামবে টাইগাররা
সর্বমোট পঠিত : 141 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, কন্ডিশনটা আলাদা। এখানে স্পিনাররা ভালো করে জেনেছি, তবে ম্যাচের আগে উইকেট দেখলে লিশ্চিত হবো। লিটন-নাঈমই থাকছে। সোহান-মাহাদীরা ভালো কিছু করবে। অলরাউন্ডারদের জ্বলে উঠতে হবে। শ্রীলঙ্কার সাথে আমরা নিয়মিত খেলি। আশা করি পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারবো। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত করতে মুখিয়ে শ্রীলঙ্কা। সেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে, প্রথমরাউন্ড থেকে। ব্যাটিং, বোলিংয়ে কম্বিনেশন খুঁঁজে পেয়েছে। বাংলাদেশকে দেখছে বড় বড় বাধা হিসেবে। আত্মবিশ্বাসী দলকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে ড্রেসিং রুমে মাহেলা জয়াবর্ধনের উপস্থিতি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের, সুপার টুয়েলভ মিশন শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম পরীক্ষা শ্রীলঙ্কার সাথে। জয় সহজ হবে না মানছেন রাসেল ডমিঙ্গো। বলছেন, দুর্দান্ত শুরুর জন্য দরকার অলরাউন্ড পারফর্মেন্স।

শারজার কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জকেও বড় করে দেখছেন টাইগার হেড কোচ। অন্যদিকে নিজেদের ফর্মে আস্থা শ্রীলঙ্কার, সাকিব-মুস্তাফিজকে নিয়ে আছে আলাদা পরিকল্পনা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বিকাল ৪টায়।


স্বপ্নের বিশ্বকাপ। অতিত ইতিহাস পাল্টে ভাল কিছু অর্জনের লক্ষ্য এবার বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের জন্য সেরা প্রস্তুতি সেরে এসেছে দল। যদিও বাছাই পর্বে খানিকটা অগোছালো দেখা গেছে।

জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়ে এসেও পরিস্থিতি বদলায়নি। অতীত ইতিহাস সামনে আসছে, মনোবল হারিয়ে ফেলছেন ক্রিকেটাররা।

২০০৭ সালের উইন্ডিজকে হারানোর পর আর বড় দলকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার কি বদলাবে দৃশ্যপট না-কি আগের মতোই হতাশ হতে হবে। যার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

ম্যাচের আগের দিন, আইসিসির কড়াকড়িতে ক্রিকেটারদের অনুশীলন দেখা যায়নি, কোচিংস্টাফের ফোকাস পয়েন্টও জানানো যায়নি। কোচ জানিয়েছেন, শতবাধা পেরিয়ে এবার ভালো করবে দল।

বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, কন্ডিশনটা আলাদা। এখানে স্পিনাররা ভালো করে জেনেছি, তবে ম্যাচের আগে উইকেট দেখলে লিশ্চিত হবো। লিটন-নাঈমই থাকছে। সোহান-মাহাদীরা ভালো কিছু করবে। অলরাউন্ডারদের জ্বলে উঠতে হবে। শ্রীলঙ্কার সাথে আমরা নিয়মিত খেলি। আশা করি পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারবো।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত করতে মুখিয়ে শ্রীলঙ্কা। সেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে, প্রথমরাউন্ড থেকে। ব্যাটিং, বোলিংয়ে কম্বিনেশন খুঁঁজে পেয়েছে। বাংলাদেশকে দেখছে বড় বড় বাধা হিসেবে। আত্মবিশ্বাসী দলকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে ড্রেসিং রুমে মাহেলা জয়াবর্ধনের উপস্থিতি।

শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু আমাদের পরিকল্পনা মতো হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রিকেটার ফর্মে ফিরেছে। শুরুটা ভালো হবে আশা করি। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না, আমরা আমাদের কাজ করে যেতে চাই। মাহেলার মতো কিংবদন্তি দলের সাথে থাকা বাড়তি অনুপ্রেরণার।

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভেন্যুতে স্পিনাররা সহযোগিতা পাবে। এশিয়ার দুই দেশ সেই সুযোগ নিতে প্রস্তুত। দেখার অপেক্ষা, একাদশে বাংলাদেশ তিন পেসার রাখে না-কি একটা কমিয়ে অতিরিক্ত এক স্পিনার খেলায়।

শারজায় একটি ম্যাচ খেলায় বাড়তি সুবিধা পাবে শ্রীলঙ্কা। টাইগারদের জন্য থাকবে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে পরিকল্পিত হতে হবে দলকে। অন্যদিকে সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকার বলছেন, মূল লড়াইটা হবে দু-দলের স্পিনারদের মধ্যে।

ওমানে জমেনি ওপেনিং পার্টনারশিপ, পাওয়ার প্লে-তে প্রতি ম্যাচেই জোড়া উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কারও একই অবস্থা, ওরাও আর্লি উইকেট হারিয়ে ভুগেছে বেশ। নামিয়া-আয়ারল্যান্ড, দুই ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে তিনটি করে উইকেট পড়েছিল লঙ্কানদের।

নতুন বলে পেইসারদের মোকাবেলায় সাহসী হওয়া জরুরি। লাহিরু কুমারা-দুসমন্হা চামিরাকে সামলানোর চ্যালেঞ্জ লিটন-নাঈমের। বিপরীতে সাইফুদ্দিন-মুস্তাফিজ, প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের কারণ। শুরুর মোমেন্টাম ধরতে, পেইস গড়ে দেবে ব্যবধান। তুলনায় দুই দলের শক্তি কাছাকাছি।

শাহজায় স্পিনারদের ওপর থাকবে স্পটলাইট, ইনফর্ম সাকিব আল হাসান টাইগারদের মূল অস্ত্র। ব্যাটিংয়েও আছেন ছন্দে। সময়মতো ব্রেক থ্রুর জন্য মাহমুদউল্লাহর ভরসা তিনি। ওদিকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা শ্রীলঙ্কার ট্রাম্পকার্ড, লেগ স্পিনে বাংলার দুর্বলতা তো ওপেন সেক্রেট।

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সাকিব-হাসারাঙ্গার, যে কেউ হতে পারে ম্যাচের নায়ক। প্রথম রাউন্ডে দুজনেই ব্যাটে-বলে প্রভাব বিস্তার করেছেন। তবে মুখোমুখি অবস্থানে, অভিজ্ঞতায় সাকিব যোজন-যোজন এগিয়ে।

তিন ম্যাচে ৮ উইকেট নেয়া মাহিশ থিকশানার ইনজুরি লঙ্কানদের জন্য বড় ঘাটতি। ওখানে শেখ মাহেদীর ফর্ম বাংলাদেশের প্রথম রাউন্ডে অন্যতম প্রাপ্তি। আমিরাতেও মাহেদীর ধারাবাহিকতা লাগবেই।

বোলিংয়ে দু’দল কাছাকাছি অবস্থানে, পাথর্ক্য গড়তে ব্যাটারদের দিকে চোখ থাকবে দু’দলের। সেই সাথে অধিনায়কত্বের পরীক্ষাও হয়ে যাবে, যেখানে শানাকার থেকে অনেক পরিণত মাহমুদউল্লাহ।

আবুধাবিতে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ১৪৮ রানের টার্গেট দিয়ে ৮৯ রানে ৬ উইকেট তুলেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু আভিষ্কা ফার্নান্দোর কাছেই হেরে যায় লিটনরা। পাওয়ার হিটিং, সামর্থ্য লঙ্কানদের কিছুটা এগিয়েই রাখবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি