মোংলায় তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপাকে নিম্ম আয়ের মানুষ

মোংলায় তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপাকে নিম্ম আয়ের মানুষ
সর্বমোট পঠিত : 148 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, বন্দরের পশুর চ্যানেলের বহিঃনোঙ্গর ও জেটিতে সার, চাল, ক্লিংকার, কয়লা ও মেশিরারীজ মালামাল-সহ ২০টি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় অবস্থান করছে।

তিনদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক নিচু এলাকা। ভারী ও হালকা বৃষ্টিপাতের কারনে ব্যহত হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম।দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
অন্যদিকে হালকা ও ভারী বৃষ্টির ফলে বন্দরে অবস্থানরত সামুদ্রিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ চলছে ধীরগতিতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তার বুলেটিনে দেশের তিনটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।

মোংলা উপজেলা ও বন্দর এলাকায় ১৭ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাত থেকেই থেমে থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ও সাগরে নেমে জেলেরা মাছ ধরতে পারছেন না।

এ ছাড়া সুন্দরবনের দুবলার চর, মেহের আলীর চর, আলোরকোলসহ চরাঞ্চল এলাকায় সাগর থেকে আহরিত মাছ নিয়েও উঠে আসতে পারছেন না জেলেরা। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, বন্দরের পশুর চ্যানেলের বহিঃনোঙ্গর ও জেটিতে সার, চাল, ক্লিংকার, কয়লা ও মেশিরারীজ মালামাল-সহ ২০টি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় অবস্থান করছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এসব জাহাজের পণ্য খালাস-বোঝাই ব্যহত হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়া আর বৃষ্টির কারণে বন্দরের পণ্য খালাস-বোঝাইয়ের কাজে বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হলেও খাদ্য ও সারবাহী জাহাজের পণ্য খালাস কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি