শ্রীবরদীতে ইউপি নির্বাচনে ভোটের মাঠে ২ সাংবাদিক

সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান ও মো. ফরিদুজ্জামান
সর্বমোট পঠিত : 189 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

তারা হচ্ছেন ভেলুয়া ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী, শেরপুর অনলাইন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান এবং শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক-ব্যবসায়ী মো. ফরিদুজ্জামান। পেশাগতভাবে সাংবাদিক হয়েও তারা দুজনই এখন এলাকায় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ১০ ইউনিয়নের তফসিল ঘোষিত না হলেও ওই উপজেলার শ্রীবরদী সদর ও ভেলুয়া ইউনিয়নে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ২ সিনিয়র সাংবাদিক। তারা হচ্ছেন ভেলুয়া ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী, শেরপুর অনলাইন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান এবং শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক-ব্যবসায়ী মো. ফরিদুজ্জামান। পেশাগতভাবে সাংবাদিক হয়েও তারা দুজনই এখন এলাকায় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন।

জানা যায়, শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নে এবার বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পল্লী চিকিৎসক আব্দুল হালিম ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী-সাংবাদিক মো. ফরিদুজ্জামান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাÐে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ফরিদ। এলাকায় পারিবারিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি বড়ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী-সাংবাদিক সোলাইমান খান মজনুর দানশীলতার কারণে তার প্রতি এলাকার দলমতের মানুষের যেমন রয়েছে আস্থা, তেমনি তার নিজস্ব সাবেক বৃহত্তর ৩ নং (৭,৮,৯) ওয়ার্ডের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকাজুড়েই গড়ে উঠেছে তার অবস্থান। অন্যদিকে মামলা-মোকদ্দমাসহ নিজের নানা নেতিবাচক কর্মকাÐের কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের জনপ্রিয়তায় নেমেছে ধস। ফলে নির্বাচনের মাঠ দখলের পাশাপাশি ফরিদই দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেনÑএমনটাই এখন শোনা যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে অন্যান্যের মধ্যে ছামিউল ইসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহিনুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা।

এদিকে, ভেলুয়া ইউনিয়নে আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছেন সাংবাদিক নেতা ও সমাজসেবক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান। প্রায় ৫ মাস আগে নিজের বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া মো. মিজানুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকেই তার নাম উঠে আসে এলাকার মানুষের মুখে মুখে। একজন সফল সংগঠক ও জনবান্ধব মানুষ হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি ও অবস্থান। ভাই মিজানুর রহমানের মৃত্যুর ৩ মাস যেতে না যেতেই মারা যান জুবায়েরের বাবা, এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মিয়া মজিবর রহমান। জুবায়ের সাবেক বৃহত্তর ১ নং ওয়ার্ডে (১,২,৩) একমাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী। অন্য দুটি ওয়ার্ডে অর্থাৎ সাবেক ৩নং ওয়ার্ডে সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, গত নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান আরজু এবং সাবেক ২নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেনের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংবাদিক জুবায়ের রহমানও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতা মো. আব্দুল করিম, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু জাফরসহ ওই দুটি ওয়ার্ডে আরও একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। ফলে নিজের ওয়ার্ডে একক প্রার্থী হওয়ার কারণে প্রয়াত ভাইয়ের মতো অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন জুবায়ের।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি