শেরপুরে মুজিববর্ষ গোল্ডকাপ ফুটবলে রৌহা ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন

শেরপুরে মুজিববর্ষ গোল্ডকাপ ফুটবলে রৌহা ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন
সর্বমোট পঠিত : 190 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সদর ইউএনও মোহাম্মদ ফিরোজ আল-মামুন, সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, নবাগত ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌসী, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোক্তাদিরুল আহমেদ, ডিএসএ, ডিএফএ ও সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানগন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ফাইনাল খেলায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো স্টেডিয়ামের গ্যালারি। বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন।

শেরপুরে মুজিববর্ষ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রৌহা ইউনিয়ন দল। ১০ অক্টোবর রবিবার বিকেলে শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় রৌহা ইউনিয়ন দল টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন দলকে পরাজিত করে। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলাটি ২-২ গোলে অমিমাংসিত ছিলো। ফাইনাল খেলায় উভয় দলেই ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ ও প্রথম বিভাগে খেলা খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলাটি তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হয় এবং দর্শকরা দারুনভাবে খেলা উপভোগ করেন। এদিন কানায় কানায় পূর্ণ স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছাপিয়ে মাঠের টাচ লাইনের পাশে বসেও দর্শকরা খেলা উপভোগ করেন। শেরপুরের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক প্রায় ৪০ হাজার দর্শক খেলা উপভোগ করেন।

খেলা শুরু হওয়ার ৭ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের জটলায় বল পেয়ে আচমকা শটে বল জালে জড়ান রৌহা দলের মিডফিল্ডার রানা মিয়া। খেলার ২০ মিনিটের মাথায় রৌহার স্ট্রাইকার শাহজামাল আরেকটি গোল করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়াধের শুরুতে ২ মিনিটের মাথায় পাকুড়িয়া দলের লিমন গোল করে ব্যবধান কমান। সেইসাথে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দ্বিতীয়ার্ধের ১৩ মিনিটে পাকুড়িয়া দলের মিডফিল্ডার সাখাওয়াতের দেওয়া গোলে খেলায় সমতা আনে। পরে আর কোন দল গোল না করতে পারায় খেলাটি ২-২ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। শিরোপা নির্ধারনী টাইব্রেকারের প্রথম ৪ শটে রৌহার চারজন গোল করলেও পাকুড়িয়ার দু’টি শট রৌহার গোলকিপার সুজন প্রতিহত করলে তার দল জয়োল্লাসে মেতে ওঠে। টাইব্রেকারের দুই গোল ঠেকিয়ে রৌহার গোলকিপার সুজন ‘ম্যান অব ফি ফাইনাল’ পুরষ্কার লাভ করেন। এছাড়া পাকুড়িয়া দলের মিডফিল্ডার ফেরদৌস টুর্নামেন্টে ৩ গোলের পাশাপাশি অনবদ্য নৈপুন্য প্রদর্শন করায় টুনামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার লাভ করেন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি বিজয়ী ও বিজিত দলের মাঝে স্বর্ণ নির্মিত ট্রফি বিতরণ করেন। এসময় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী হুইপ আতিক এমপি চ্যাম্পিয়ন দলকে দেড়লাখ টাকা এবং রানারআপ দলকে এক লাখ টাকা প্রাইজমানি পুরষ্কার প্রদান করেন। খেলা শুরুর আগে আন্ধারিয়া-সুতিরপাড় তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠির গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারি হিজড়াদের অংশগ্রহণে এক মিনি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।

পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, সদর ইউএনও মোহাম্মদ ফিরোজ আল-মামুন, সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, নবাগত ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌসী, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোক্তাদিরুল আহমেদ, ডিএসএ, ডিএফএ ও সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানগন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ফাইনাল খেলায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো স্টেডিয়ামের গ্যালারি। বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন।

সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক মুজিববর্ষ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ও স্পন্সর করেন। সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে সদরের ১৪ ইউনিয়নকে নিয়ে নক আউট ভিত্তিতে টুর্নামেন্টের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। টুনামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের জন্য স্বর্ণ নির্মিত ট্রফি ছাড়াও প্রাইজমানি হিসেবে যথাক্রমে দেড়লাখ টাকা ও এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়। হুইপ আতিক মহোদয় ঘোষণা দিয়েছেন শেরপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন দলকে নিয়ে প্রতিবছর এ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করা হবে। এর মধ্যদিয়ে মাদক, নেশা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, কিশোর গ্যাং অপরাধ কর্মকান্ড ছেড়ে শিশু-কিশোর, যুবকরা খেলাধুলায় মনোনিবেশ করবে এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকমুক্ত শেরপুর গড়া সহজ হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি