তিন মাস পরপর বাজেটের মূল্যায়ন চায় এমসিসিআই

তিন মাস পরপর বাজেটের মূল্যায়ন চায় এমসিসিআই
সর্বমোট পঠিত : 228 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

তিন মাস পরপর ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। শনিবার এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রতি এ অনুরোধ জানান এমসিসিআইয়ের সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের অনুমান এখনও অনিশ্চিত। এ কারণে তিন মাস পর বাজেটের অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন এবং পরবর্তী বছরে প্রতি তিন মাস পরপর অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন হওয়া উচিত।’

নিহাদ কবির বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, এটি পুনর্গঠন এবং সেই অনুযায়ী সংশোধন করা যায়। যেহেতু এই মহামারির প্রভাবের কারণে সমাজ ও অর্থনীতিতে সামনে আরও অনেক অজানা বিষয় মোকাবিলা করতে হবে, সেহেতু সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই বিষয়গুলো মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় নমনীয়তাও থাকতে হবে।’

কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১০ শতাংশ কর পরিশোধের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার জন্য সুযোগ না থাকায় এমসিসিআই সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এমসিসিআই প্রত্যাশা করছে যে, সরকার আরও সুনির্দিষ্ট উপায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তাদের কৌশলগুলো নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে, যাতে মহামারির সময়ে যারা চাকরি হারিয়েছিল তারা শিগগিরই চাকরির বাজারে ফিরে আসতে পারে ।’

এমসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এমসিসিআই মনে করে, এবারের বাজেট গতানুগতিক নয়। এতে ঘাটতি ও নিম্ন প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে চিন্তা না করে যুক্তিসঙ্গতভাবে জনগণের স্থিতিশীল জীবন ও জীবিকার দিকে মনোযোগ দেয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই বাজেট অনেক দিক থেকে সাহসী ও অগ্রগামী। প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দের আর্থিক ও অন্যান্য প্রণোদনার পুরো সুবিধা যদি অর্জন করতে হয়, তাহলে সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন ও সরকারি ব্যয়ের মান নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তিন মাস পরে বাজেটের অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন হওয়া উচিত। তখন যদি প্রয়োজন হয়, তবে বাজেট পুনর্গঠন ও সংশোধন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটে করপোরেট কর ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবকে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে একটি সঠিক পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।’ নিহাদ কবির বলেন, ‘বাজেটে অগ্রিম মূল্য সংযোজন কর কমানোর পরিকল্পনা ব্যবসাবান্ধব। তবে ব্যক্তিগত কর রেয়াতের জন্য সর্বাধিক বিনিয়োগের সীমা দেড় কোটি থেকে এক কোটি টাকা করায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি।’


মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি