টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আজ ওমান যাচ্ছে টাইগাররা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আজ ওমান যাচ্ছে টাইগাররা
সর্বমোট পঠিত : 287 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

এই ভেন্যুতে এ যাবৎ হয়েছে ২৪ টি-টোয়েন্টি, প্রথম ইনিংসে গড় রান দেড়শ পার। অথচ রেকর্ড বলছে, রান তাড়াতেই এখানে জয়ের পাল্লা ভারি। দুশোর ওপরে সংগ্রহও অসম্ভব নয়। আইসিসির ইভেন্ট, প্রত্যাশামত ব্যাটে-বলে ভারসাম্য থাকার কথা, ওমানে গিয়ে কম সময়ে বুঝতে হবে কন্ডিশন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আজ ওমান যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে ক্রিকেটার ও স্টাফদের করোনা পরীক্ষার নমুনা নেয়া হয়েছে। এদিকে, আমিরাতেই আইপিএল খেলতে ব্যস্ত সাকিব-মুস্তাফিজ সরাসরি দলের সাথে যোগ দেবেন আইসিসির অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের আগে। প্রস্তুতি ক্যাম্প, দুবাইয়ের প্রস্তুতি ম্যাচ আর বিশ্বকাপের সব প্রক্রিয়া হবে বায়ো-বাবলে থেকেই, জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।

স্বপ্নের বিশ্বকাপে যাবেন প্রথমবার। শরীফুল, মাহেদি, নাসুমদের রোমাঞ্চ অন্যদের চেয়ে একটু বেশি। তবে তারআগে পেতে হবে 'করোনা নেগেটিভ" সার্টিফিকেট। ঢাকার বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নমুনা নেয়া হয়েছে, বিসিবি একাডেমি থেকে।

ঢাকায় যাদের বাসা আছে সেই সব ক্রিকেটার, নির্বাচকসহ বাকিদের নমুনা নেয়া হয়েছে বাড়ি গিয়ে। ওমানে পৌছে বাংলাদেশ দল ঢুকে যাবে বায়ো-বাবলে। আইসিসির প্রোটোকল অনুয়ায়ি প্রস্ততি ম্যাচ খেলতে মুশফিক-লিটনরা দুবাইয়ে যাবে, চার্টার্ড বিমানে।

আইপিএল খেলতে আমিরাতেই আছেন সাকিব-মুস্তাফিজ। ১২ অক্টোবর প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আগে তারা যোগ দেবেন দলের সাথে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর থেকে ছুটিতে থাকা কোচিং স্টাফরাও ওমানেই যুক্ত হবেন। সৌম্য-তাসকিনদের সাথে একই সময়ে মাসকটে পৌঁছাবেন ডমিঙ্গো-গিবসনরা।

টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু, ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে। অচেনা কন্ডিশনে প্রথম রাউন্ডে টিম টাইগার্সের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি। ছোট ফরম্যাটে শক্তিমত্তার পার্থক্য কমে যাওয়ায়, সতর্ক মুশফিকুর রহিম। বিশ্বকাপে সব দলই ভারসাম্যপূর্ণ, তাই সাফল্য পেতে টাইগারদের কৌশলি হওয়ার পরামর্শ সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলের।

টানা তিন সিরিজ জয়ে র‍্যাকিংয়ে এসেছে উন্নতি, ছয়ে থেকে বিশ্বকাপে নামবে বাংলাদেশ। অথচ, খুব বেশি দিন হয়নি অবস্থান ছিল তলানিতে। ওই সূত্রে এবারও পেরুতে হবে প্রথম রাউন্ড, মিলবে সুপার টুয়েলভের টিকিট।

প্রথম মিশনে বাংলার গ্রুপে স্কটল্যান্ড-ওমান-পাপুয়া নিউগিনি। ওদের মধ্যে শুধু ওমানের সাথেই আছে টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা, সেটাও ২০১৬ বিশ্বকাপে। বাকিরা এই ফরম্যাটে একেবারেই অচেনা।

এই চ্যালেঞ্জ সহজ মেনেই মূল পর্বে চোখ রেখেছে বাংলাদেশ, আসলে কি ততটা সহজ হবে নবীনদের সাথে মোকাবিলা? পেছনে ফিরে গেলে, পচা শামুকে পা কাটার তিক্ততাও তো আছে। ২০১৪-তে চট্টগ্রামে হংকংয়ের কাছে পরাজয়, টাইগার ক্রিকেটে এক কালো অধ্যায়। সেই দুস্মৃতি মনে করে তাই নির্ভার থাকার উপায় নেই।

প্রথম রাউন্ডের পরীক্ষা ওমানে, আল আমিরাত স্টেডিয়ামে কখনোই খেলেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের জন্য উইকেট তৈরি হচ্ছে নতুন করে।

এই ভেন্যুতে এ যাবৎ হয়েছে ২৪ টি-টোয়েন্টি, প্রথম ইনিংসে গড় রান দেড়শ পার। অথচ রেকর্ড বলছে, রান তাড়াতেই এখানে জয়ের পাল্লা ভারি। দুশোর ওপরে সংগ্রহও অসম্ভব নয়। আইসিসির ইভেন্ট, প্রত্যাশামত ব্যাটে-বলে ভারসাম্য থাকার কথা, ওমানে গিয়ে কম সময়ে বুঝতে হবে কন্ডিশন।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি