স্কুলভবন

স্কুলভবনে খড়ের স্তুপ, মাদকের আড্ডা

স্কুলভবনে খড়ের স্তুপ, মাদকের আড্ডা
সর্বমোট পঠিত : 207 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

মহামারি করোনার কারণে সারা দেশের মতো ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও গত ১৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের ছেলেমেয়েদের বইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধানের খড় দিয়ে স্কুল ভবন দখলের মতো চিত্র দেখা গেছে। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় মোট ১৫টি কলেজ, ৬৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪২টি মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট ৬৩ হাজার ৭৪০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া ২৪০টি কিন্ডারগার্টেন, আটটি উচ্চ বিদ্যায় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭টি ইবতেদায়ী এবং ১৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ হাজার ৩৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দিলেও অধিকাংশ মাদরাসা ও উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিসে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়গুলোর মাঠে লম্বা ঘাস গজিয়েছে।


সরেজমিনে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, বিকাল বেলায় কিশোর-যুবকরা স্কুলের মাঠে মোবাইল ফোন নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সন্ধ্যায় মাদকের আড্ডাও দেখা গেছে। 


দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষকরা কৃষি কাজসহ বিভিন্ন পেশায় মনোনিবেশ করেছেন। অনেক শিক্ষক গ্রুপ করে গোপনে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন।


১৯ নং রাংচাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের পাশের একটি পুরাতন ভবন স্থানীয় লোকজন গো-খাদ্যের খড় দিয়ে ভবন দখল করে রেখেছেন। ৫৬ নং গোবুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলজিইডি’র রাস্তার কাজে চুলা বানিয়ে, বিটুমিন পুড়িয়ে ও পাথর জালিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ নোংরা করে রাখা হয়েছে। বন্ধের মধ্যে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় শ্রেণিকক্ষের টেবিল, চেয়ার ও বেঞ্চে ধুলোবালি স্তূপ জমেছে। 


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি সপ্তাহে ছাত্র-ছাত্রীদের এসাইনমেন্ট দিয়ে খাতা জমা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট দেওয়া জমা নেওয়া হয়নি। 


এসব বিষয়ে একজন স্কুল শিক্ষার্থীর অভিভাবক আকরাম হোসেন যুগান্তরকে বলেন, করোনায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ছেলে -মেয়েরা পড়ার টেবিলে বসতেই চায় না। স্কুল খোলার কথা শুনে একুট স্বস্তি পাচ্ছি, তবুও কবে খুলবে সেটা অনিশ্চিত। টেলিভিন ও মোবাইল দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা পূর্ণতা পায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 


এসব বিষয় অবহিত করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, করোনাকালীন সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অফিস খোলা রাখার কথা। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস ও এসাইমেন্ট জমা না নিয়ে তাহলে অভিযোগ পেলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি