রংপুর

রংপুরে থানা ঘেরাও মহাসড়ক অবরোধ

রংপুরে থানা ঘেরাও মহাসড়ক অবরোধ
সর্বমোট পঠিত : 273 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

রংপুর নগরীর এক কাউন্সিলরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জমান প্রধানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাওসহ রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়।

এ সময় দেড় ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুব মোর্শেদ শামীম জানান, বেশ কিছুদিন আগে জমিজমার বিরোধ নিয়ে আতাউর রহমান নামে এক ব্যক্তি কাউন্সিলর অফিসে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু আতাউর রোববার তাজহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করে। পরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে এএসআই রাজ্জাকুল আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে নির্দোষ আবুলকে কেন আটক করা হয়েছে তা তিনি জানতে চান। এ সময় আবুলকে গাঁজা রাখার দায়ে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয় বলে এলাকাবাসী জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আসলে আবুল মাদকের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগও আগে নেই। এ ঘটনা থানায় গিয়ে জানতে চাওয়ায় ওসি কাউন্সিলরের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।


তিনি আরও জানান, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আমার ওয়ার্ডের লোকজন থানায় আসেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা থানার সামনে হৈচৈ করে প্রতিবাদ জানায় এবং আবুল হোসেনকে নির্দোষ দাবি করে তার মুক্তি চায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাওসহ ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে।


এ ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাজহাট থানায় আসেন সিটির প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিবলু, সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর নাজমাসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ও মেট্রোপলিটন সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেন। পরে সহকারী পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ তুলে নেন এবং আবুল হোসেনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমাদের মধ্যে এর অবসান হয়েছে। আটক আবুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান বলেন, ছোট একটি বিষয় নিয়ে ওসি ও আমাদের কাউন্সিলরের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা সেটার সমাধান করেছি। তবে তাজহাট থানা পুলিশ ও ওসির বিরুদ্ধে হয়রানি ও ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আমরা আশা করি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তা খতিয়ে দেখবেন। বিষয়টির সত্যতা অনুয়ায়ী তারা ব্যবস্থা নেবেন।


মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি