দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে বরিশালের নলুয়া-বাহেরচর বাসীর। দুটি এলাকাকে এক করতে সেখানকার পান্ডব-পায়রা নদীর ওপর নির্মিত হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেতু। প্রকল্পটি মঙ্গলবার অনুমোদন দেয়া হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। এতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরিশাল (দিনারেরপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭তম কিলোমিটারে পান্ডব পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে অনুমোদন দেয়া হয়।

চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে। এদিন আরও ৯টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এর মধ্যে রয়েছে একটি সংশোধিত প্রকল্প। একমাত্র সংশোধিত প্রকল্প জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বিপিএটিসি এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পে ব্যয় ৩৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা বাড়িয়ে করা কয়েছে ১ হাজার ২০৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও এর মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন সময় ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। মেয়াদ চলতি জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ বছরের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ কাজ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত।

একই মন্ত্রণারয়ের ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারাজ, বুড়িবাঁধ ও ভুল্লিবাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ২৯৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ (প্রথম ৩০টি সাইলো নির্মাণ পাইলট প্রকল্প)’ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকাল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন।

মোট ১০টি প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।