ভাতা কৌশলে আত্মসাৎ

মোবাইলে যাওয়া প্রতিবন্ধীর ভাতা কৌশলে আত্মসাৎ

মোবাইলে যাওয়া প্রতিবন্ধীর ভাতা কৌশলে আত্মসাৎ
সর্বমোট পঠিত : 351 বার
জুম ইন জুম আউট পরে পড়ুন প্রিন্ট

ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিকাশ এজেন্টের বিরুদ্ধে। থানায় মামলা করায় প্রতিবন্ধীকে দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের হুমকি। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ। নিউজবাংলাকে বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ।

প্রতিবন্ধী আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি ও বিকাশ এজেন্ট দুইজনই উপজেলার ৮ নম্বর সিংরইল ইউনিয়নের বাসিন্দা। গেল রোজার ঈদের দুইদিন আগে আমার মোবাইল নম্বরে প্রতিবন্ধী ভাতার সাড়ে ৪ হাজার টাকা আসে। উপজেলার সিংরইল বাজারে মকবুলের বিকাশের দোকান থেকে টাকা তুলতে গেলে গোপন পিন নম্বর নিয়ে বলে ভাতার টাকা আসেনি।

‘আমি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারি এরইমধ্যে টাকা উঠানো হয়েছে। পরে থানায় এসে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করেছি। এরপর থেকেই বিকাশ এজেন্ট ও তার ভাই আমাকে হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে মারধর করেন।

‘এখন পর্যন্ত আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আর তাই আইনের আশ্রয় নিতে গত ৪ জুন থানায় গিয়ে বিকাশ এজেন্ট ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখন ওদের ভয়ে আরও বেশি আতঙ্কে আছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিকাশ এজেন্ট মকবুল হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা ফালান মিয়া বলেন, ‘প্রতিবন্ধী সালামের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। মামলা করার ঘটনায় তাকে আমরা কেউ হুমকি দেয়নি। তবে সালামের সঙ্গে আমার ছেলের বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান হলেই ভালো হয়।’

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বিকাশ এজেন্ট মকবুল প্রতারণা করে তুলে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শুক্রবার ৪ জুন থানায় মামলা করেছেন সালাম। এ মামলায় মকবুলের ভাইকেও আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধীর মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আমরা অনুসন্ধান করছি ভাতার টাকাটা কোন নম্বরে ডুকেছে। এজন্য বিকাশ এজেন্টের মোবাইল নম্বরটিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’

মন্তব্য

আরও দেখুন

নতুন যুগ টিভি